সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয় গত ৩০ মার্চ। প্রকাশিত ওই ফলাফল অনুযায়ী ১ হাজার ৯৬৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল পিএসসি। তবে পিএসসির সুপারিশকৃত সেই তালিকা থেকে ৩৪ জনকে বাদ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রকাশিত এ প্রজ্ঞাপনে ১ হাজার ৯২৯ প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়য়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়। 

এর আগে মন্ত্রণালয় থেকে গেজেটটির কাগজপত্র রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দপ্তরে পাঠানো হলে তিনি তাতে স্বাক্ষর করেন। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি দপ্তর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আসার পর সেটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ অনুসারে নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের বেতন হবে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা। এতে বলা হয়, প্রার্থীদের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অথবা সরকার নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাদের দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রার্থীদের আগামী ৪ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ নির্দেশিত বা পদায়িত কার্যালয়ে যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পিএসসি ৪০তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিসিএসে আবেদন করেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ প্রার্থী। তবে পরীক্ষা দেন ৩ লাখ ২৭ হাজার জন। ওই বছরের ২৫ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ প্রার্থী।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ফেব্রুয়ারিতে। দেশে ওই সময় করোনা মহামারি শুরু হলে খাতা দেখাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। প্রায় এক বছর পর গত বছরের ২৭ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১০ হাজার ৯৬৪ জন পাস করেন। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে পাঁচবার মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে পিএসসি। এ বছরের ৩০ মার্চ চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১ হাজার ৯৬৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

এসকেডি