পরিবহন খাতে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে তা উৎপাদন খাতে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে সমর্থন জানিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহনে সে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে তা উৎপাদন খাতে দেওয়া হলে উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। এ বিষয়ে আপনারা কোনো সুপারিশ করবেন কী না? জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, কথাগুলো বিভিন্নভাবে আসছে। পরিবহনে সরবরাহ কমিয়েও যদি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এটি বিবেচনায় নেবে।

সংশ্লিষ্ট আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের দেখার ব্যাপার না। আমরা অবশ্য উনাদের (ব্যবসায়ী) সঙ্গে একমত। গাড়ি ব্যবহার অতো বেশি প্রায়োরিটি নয় যত বেশি আমাদের বেসিক রিকোয়ারমেন্টের। বিষয়টি নিয়ে সেতু মন্ত্রণালয় চিন্তা করছে। আর যদি এমনিতেই সেটা (গ্যাসের সরবরাহ) স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে তো আর সমস্যা নেই।
 
আপনারা সুপারিশ করবেন কী না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা তারা ইতোমধ্যে দাবি করেছে, আমরাও সুপারিশ করবো, আমরা জানাবো।

কানাডাসহ অন্য দেশ থেকে গম আসছে

এদিকে চলমান যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন-রাশিয়ার খাদ্যশস্যের বাজার বন্ধ থাকায় কানাডাসহ অন্যান্য দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা গম আনা শুরু করেছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, গম আমদানির বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এটা নিয়ে আমাদের এক বড় ব্যবসায়ী বললো, তার একটি জাহাজ তুরস্কে আটকে ছিল। সেটা অবশ্য রওনা হয়েছে। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন গম রয়েছে। অর্থাৎ গমেরও সরবরাহ বা সাপ্লাই ঠিক হয়ে যাবে। তবে ইউক্রেন হলো আমাদের প্রধান গম সরবরাহকারী দেশ। সেখান থেকে আনতে পারলে গমের বাজার স্থিতিশীল হবে। তবে এখন দাম বেশি পড়লেও দেশের ঘাটতি মেটাতে কানাডা থেকে গম আনার চেষ্টা করছি। অনেক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যে পরিমাণ গম প্রয়োজন তা তারা আনতে পারবেন।

ডালের সরবরাহ কিছুটা কমেছে

অন্যদিকে গত দুই তিন যাবত ডালের দাম প্রতি কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে। এ বিষয়ে কি কোন আলোচনা হয়েছে কী না- জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির মাধ্যমে আমাদের নির্ধারিত দামেই ডাল দেওয়া হচ্ছে। যদিও ডালের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। সে কারণে হয়তো দাম কিছুটা বাড়তে পারে। ট্যারিফ কমিশন এ বিষয়ে দেখবে। তারা যে দামটা বাড়িয়েছেন সেটা যৌক্তিক কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। 

দাম বাড়ায় রড-সিমেন্টের ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না

সভায় রড-সিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও একটু ডিটেইলসে যেতে হবে। বিশ্ববাজারে দাম কমার ফলে আমাদের যে সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমরা সে সুবিধা পাচ্ছি না। এখন ডলারের দাম যদি কমে তাহলে আমরা ভোক্তাদের সে সুবিধা দিতে পারবো। 

এসএইচআর/কেএ