স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দের নামে ফেসবুকে পেজ খুলে বন্যার্তদের সাহায্যের কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আমির হোসেন শাকিল (২৫), মো. দেলোয়ার হোসেন (২২), মো. মশিউর রহমান (২৬), মো. ইসরাফিল পাবেল (২৪) ও মো. মহিন উদ্দিন (২২)।

সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ১৬ ও ২৯ জুলাই ডিএমপির পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয় একটি অসাধু চক্র বিদ্যানন্দের নামে ফেসবুকে পেজ খুলে প্রতারণা করছে। পরে মামলাগুলোর তদন্তভার পায় সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন। তদন্তে দেখা যায়, চক্রটি বিদ্যানন্দের নামে পেজ খুলে বন্যার্তদের সাহায্যের কথা বলে বিভিন্ন পোস্ট দেয়। পরে অনেক মানুষ এসব পোস্ট দেখে বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য লাখ লাখ টাকা পাঠায় বিদ্যানন্দের নামে খোলা ভুয়া পেজের মালিকদের কাছে। পরে চক্রটি এসব টাকা আত্মসাৎ করে ফোন বন্ধ করে দেয়।

ধ্রুব জ্যোতির্ময় জানান, তদন্তের এক পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহার করে চক্রটির ৫ সদস্যকে রোববার (৬ নভেম্বর) নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিদ্যানন্দের নামে ভুয়া পেজ খুলে অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে।

এদিকে প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করেন সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম।

তিনি যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছেন সেগুলো হলো

১. নিজ নামের সিম কার্ড অন্য কাউকে দেওয়া/বিক্রি না করা।
২. নিজ এনআইডিতে কতগুলো সিম আছে তা চেক করে অজ্ঞাত/অব্যবহৃত সিম বন্ধ করা।
৩. প্রি-রেজিস্টার্ড সিম বিক্রি না করা।
৪. মোবাইল ফাইন্যান্স সার্ভিসের ক্যাশ আউটের সময় গ্রহীতার পরিচয় নিশ্চিত করা।
৫. সাহায্য করার আগে গ্রহীতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া, আপনার কষ্টার্জিত অর্থ অপাত্রে বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকুন। 
৬. অপরাধী ও সহায়তাকরী সবাই সমান দায় বহন করবে। সুতরাং সব সার্ভিস প্রোভাইডার, ডিস্ট্রিবিউটর, এসআর, রিটেইলার, এজেন্ট, গ্রাহক সতর্ক থাকুন।

এমএসি/জেডএস