আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে ট্রানজিট রোড হিসেবে ব্যবহার করে ভয়ঙ্কর মাদক কোকেনের একটি বড় চালান কাতারে পাচার করছিল একটি কারবারি চক্র। বিষয়টি জানতে পেরে কোকেনের চালানটি জব্দের পাশাপাশি পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচ কারবারিকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। 

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ শাখার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসি’র ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্ল্যাহ কাজল। 

আটক মাদক কারবারিরা হলেন—মিন্টু কর্মকার (৩৪), এজাহার মিয়া (৩৮), মো. নাজিম উদ্দিন ওরফে মুন্না (৪০), মো. নাজিম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ মামুন (২৭)। তবে ওই চক্রের আরেক সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৩৩) পলাতক রয়েছেন।

আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ২৫০ গ্রাম কোকেন, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে। জব্দ হওয়া কোকেনের আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি টাকা।

জাফরুল্ল্যাহ কাজল জানান, ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারা বিশ্বের নাগরিকরা কাতারে যেতে শুরু করেছেন। ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে কাতারে কোকেনের কিছু ক্রেতা রয়েছে বা কোকেনের চাহিদা তৈরি হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য আসে—চট্টগ্রামের একটি চক্র বিভিন্ন জায়গা থেকে কোকেন সংগ্রহ করে কাতারে পাচার করার পরিকল্পনা করে আসছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত বাজারের বেপারী পাড়া রোড থেকে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের কোকেন জব্দ করা হয়।

আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, এ ঘটনায় পলাতক গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজারের গভীর সমুদ্রের একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে কোকেন সংগ্রহ করেন। কোকেনের চালানটি তারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে পাচারের চেষ্টা করছিলেন। এই উদ্দেশ্যে তারা বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিতদের নিয়ে একটি চক্র গড়ে তোলেন। ওই চক্রের সদস্যরা আগে ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু অতি লোভের কারণে তারা কোকেন পাচারের সঙ্গে যুক্ত হন।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসি’র এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন—গভীর সমুদ্রের একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে কোকেনগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। কাতারগামী যাত্রীদের মাধ্যমে কোকেনের চালানটি দেশটিতে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল চক্রটি।

এমএসি/কেএ