ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা কমিশন কিছু গাইডলাইন দিয়েছে। তার মানে ইভিএম প্রকল্প বাতিলও হয়নি, আবার মঞ্জুরও হয়নি। 

জানা গেছে, অক্টোবরের মাঝামাঝি ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিল ইসি। ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখের প্রস্তাবিত ওই প্রকল্পটির ওপর পর্যালোচনা করেছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় পরিকল্পনা কমিশন ইভিএম প্রকল্পটির বেশ কয়েকটি খাতের সমন্বয় করতে বলেছে। বিশেষ করে, পরিবহন ব্যয়সহ আরও বেশ কিছু খাতের সংশোধনী আসতে পারে। ফলে ইসির প্রাক্কলন করা ব্যয় অনেকটাই কমে যাবে বলে জানা গেছে।

ইভিএম প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, পরিকল্পনা কমিশন থেকে প্রকল্পটির বিষয়ে কিছু গাইডলাইন দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মানে প্রকল্পটি বাতিল হয়নি, আবার মঞ্জুরও হয়নি। কিন্তু গাইড লাইন একটা দেওয়া হয়েছে। আমি যতটুকু বুঝেছি যে ব্যয় একটা মাত্রার মধ্যে এনে দিতে বলেছে। কোথায় কোথায় ব্যয় একটু কমানো হবে সেটার একটা গাইডলাইন দিয়েছে।

ইভিএম প্রজেক্ট পাসে সময়ক্ষেপণ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় সময়ক্ষেপণ হবে না। যেহেতু তারা (পরিকল্পনা কমিশন) গাইডলাইন দিয়েছেন, আর সেটা আমাদের দপ্তরে এসে গেছে সেক্ষেত্রে আমরা দেরি করব না। আবার আমরা যখন এটা পাঠাবো তারা সেটা গুরুত্ব দিয়ে করবেন। কারণ এটা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত একটা বিষয়। নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে সেটা দিয়ে লাভটা কী।

আরও পড়ুন : স্বরাষ্ট্রের কব্জায় এনআইডি, সংকটে পড়বে ইভিএম ও নাগরিক সেবা

জানুয়ারির আগে প্রকল্পটি পাস হবে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের প্রকল্প পরিচালক আশাবাদী। তাই এটা নিয়ে আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আমার মনে হচ্ছে ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি মধ্যে আসলে হয়ত ইভিএমে ভোট করা সম্ভব।

ইভিএম প্রকল্প সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, যেহেতু আমাদের ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়নি। আগামীকাল একটা মিটিং রয়েছে৷ ফিজিবিলিটির বিকল্প কী করতে হবে সেটা বলে দেওয়া হয়েছে। একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে। সেই কমিটিতে বুয়েটের শিক্ষকরা রয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রয়েছেন। এ বিষয়ে কালকের মিটিংয়ে তাদের স্বাক্ষর যুক্ত হবে। কারিগরি কমিটির সব সদস্যের স্বাক্ষরসহ প্রকল্প প্রস্তাবটি নতুন করে পাঠানো হবে।

ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল রাকিবুল হাসান বলেন, ব্যয় সংকোচন বলতে যা বুঝায় সে ধরনের কিছু এখানে নেই। কিছু ক্ষেত্রে হয়ত আমরা একটু বেশি ধরে রেখেছি সেটা আমাদের জানা ছিল না। তারা যেসব সুপারিশ করেছেন সেগুলো যৌক্তিক মনে হয়েছে আমাদের কাছে। 

মধ্য জানুয়ারির মধ্যে ওয়ার্ক অডার পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছু তো নিয়ম অনুযায়ী চলছে, ভালোভাবে হচ্ছে। আমাদের তো কেউ বলেনি এ প্রকল্প হবে না। অবশ্যই ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে আমরা আশাবাদী।

এসআর/এসকেডি