বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে কে, কোথায়, কেন হত্যা করেছে সেসব প্রশ্নের কোনোটিরই জবাব এখনো মেলেনি। ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের দুদিন পর একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে তার বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আমাতুল্লাহ বুশরাকে। 

তবে বুশরার সঙ্গে ফারদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। বুশরাকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তার রামপুরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

ফারদিন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ফারদিন হত্যার মোটিভ এখনো জানা যায়নি। আমরা জানার চেষ্টা করছি। এছাড়া বুশরার সঙ্গে ফারদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না তাও জানা যায়নি। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, বুশরার সঙ্গে ফারদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল।

গত ৪ নভেম্বর রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে রামপুরায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় নামিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে; তাকে হত্যা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ফারদিনের বান্ধবী বুশরা গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ সদর (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শেখ ফরহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ময়নাতদন্তে আমরা দেখতে পেয়েছি, তার মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে সেই আঘাত কোনো ধারালো অস্ত্রের নয়। আঘাতের চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি হত্যাকাণ্ড। পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত ও আলামত মহাখালী ভিসিআরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পেলে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বুধবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বান্ধবী বুশরা ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। 

মামলা দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এমএসি/এসএসএইচ/এনএফ