টাকার বিনিময়ে শিশু পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ভোর ও গতকাল বুধবার মধ্যরাতে তাদের গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. আব্দুল হালিম (১৯), মোজাহিদ (২২) এবং মো. আব্দুল্লাহ (১৮)।

সিটি-সাইবারের এর এডিসি নাজমুল বলেন, ‌‘অভিযুক্তদের কাছে বেশ কিছু শিশু পর্নোগ্রাফির কন্টেন্ট পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত আছে এবং জড়িতদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।’

কাউন্টার টেরোরিজম জানায়, গ্রেপ্তাররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং টেলিগ্রাম ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি ভিডিও বিক্রয় করার বিজ্ঞাপন প্রচার করে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে প্রলুব্ধ করতেন। বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে অবৈধ ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতেন তারা। চাইল্ড পর্নোগ্রাফিক ভিডিওসহ সব ধরনের পর্নোগ্রাফিক ভিডিও তারা ক্লাউড স্টোরেজ মেগা নামক সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সরবরাহ করে আসছিল। গ্রেপ্তারদের মোবাইল ফোনে বিপুল পরিমাণ পর্নোগ্রাফিক ভিডিও কন্টেন্ট পাওয়া যায়। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পর্নোগ্রাফিক ভিডিও কন্টেন্ট ইন্টারনেটের ডার্ক ওয়েব থেকে সংগ্রহ করা মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। ডার্ক ওয়েব থেকে তারা চাইল্ড পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিভিন্ন ধরনের অ্যাবিউসিভ ভিডিও সংগ্রহ করে গ্রেপ্তার মো. আব্দুল্লাহ অনলাইন ক্লাউড স্টোরেজ মেগা ব্যবহার করে অপর গ্রেপ্তারদের কাছে অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করতেন। মো. আব্দুল্লাহ পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়াতেও একই পদ্ধতিতে পর্নোগ্রাফিক ভিডিও সরবরাহ করে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতেন। 

গ্রেপ্তার মোজাহিদ এবং মো. আব্দুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং টেলিগ্রাম ব্যবহার করে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করে এসব পর্নোগ্রাফিক ভিডিও কন্টেন্ট বিক্রয় করছিল। গ্রেপ্তাররা ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস অ্যাকাউন্ট খুলে ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতেন। সবমিলে এই অপকর্মে তারা ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এআর/এমএ