রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেছেন, আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের আওতায় নাগরিক সুবিধাকে সম্প্রসারিত করলে নগরমুখী অভিগমন অনেকাংশে কমে যাবে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) বাংলামটরে বিআইপি কনফারেন্স রুমে বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত  সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

‌‘পরিকল্পিত জনঘনত্ব, বাসযোগ্য নগর ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স( বিআইপি)।

আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, স্থানীয় পরিকল্পনার সঙ্গে নগর পরিকল্পনার সমন্বয় না হলে পরিকল্পনা সাফল্য পাবে না। তাই পুরো দেশকে পরিকল্পনার আওতায় আনতে হবে। এছাড়া প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর সভা করে অগ্রাধিকার অনুযায়ী ড্যাপ বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ৮ম। তাই পুরো দেশের সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়া খণ্ড খণ্ড পরিকল্পনা করলে তা দেশের উন্নয়নের বদলে নগর বাসযোগ্যতা থেকে দূরে সরে যাবে। সারা দেশব্যাপী সমন্বিত একটি জাতীয় ভৌত পরিকল্পনা এবং জাতীয় নগর নীতিমালা ও আইনের উপর জোর দেওয়া জরুরি। এছাড়াও উন্নয়ন বিকেন্দ্রীকরণ, নগর সুবিধা সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারলে সুফল পাওয়া যাবে।

বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, নগর পরিকল্পনাবিদদের পেশার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস পালন করা হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী এই ৫০ বছরে অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়াও পরিকল্পনা জ্ঞান প্রসারের স্বার্থে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি পরিকল্পনা একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাই।

সবার বক্তব্য শুনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, নগর অঞ্চল ও গ্রামীণ পরিকল্পনার গুরুত্ব অনুধাবন আমরা করতে পারছি। নগর পরিকল্পনার সঠিক চর্চা ও পরিকল্পনাবিদদের কারিগরি সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিআইপিকে একটি পরিকল্পনা ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের জমি বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

এএসএস/এসকেডি