পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবাঁ) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান বলেছেন, সরকার দ্রুত বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য ২০০৯ সালে কুইক রেন্টালের আশ্রয় নিয়েছিল। তবে এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি—বর্জ্য ব্যবহার করেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে যাচ্ছে, যা খুবই আশাব্যঞ্জক। পচনশীল বর্জ্য থেকে সার তৈরির কাজকেও পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া জরুরি। যে পচনশীল বর্জ্যগুলো ফেলে দেওয়া হয়, সেই বর্জ্যগুলো দিয়ে সার তৈরি করে মানুষ আয় করতে পারে। গৃহস্থালির বর্জ্য হতে পারে ঢাকা শহরের নিম্ন আয়ের মানুষের আয়ের অন্যতম মাধ্যম।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) হাজারীবাগের বালুর মাঠের বাড়ৈইখালী এলাকার বারসিক আয়োজিত ‘গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে সার তৈরি, অংশীদারিত্ব ও বাজারজাতকরণ’ বিষয়ক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাজারীবাগের বউ বাজার ও বালুর মাঠ এলাকার সিবিও সদস্য ও কমিউনিটির লোকজন গৃহস্থালির বর্জ্য জমিয়ে ড্রামে ভরে ধারাবাহিকভাবে জৈব সার তৈরি করেছেন। আর সারগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে নার্সারি মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

সভায় তারা বলেন, যদি এগুলো ব্যবহার করে নার্সারি মালিকেরা সন্তুষ্ট হন, তাহলে বড় পরিসরে তারা সার প্রস্তুত করবেন। নার্সারি মালিকরা বলছেন, বর্জ্য থেকে সার তৈরির কাজটা অতটা সহজ নয়। এ থেকে হয়তো আরও ভালো মানের সার তৈরি করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে যারা বর্জ্য রপ্তানি করে। আপনারা ছোট পরিসরে বর্জ্য থেকে সার তৈরির কাজ শুরু করেছেন, এটা একটা বড় ব্যাপার। আপনাদের তৈরি করা এই সারের মান উন্নয়ন হবে, এর পরিধি আরও বাড়বে বলেই প্রত্যাশা করছি। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের উচিত জৈব সার তৈরিতে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা। 

সভাপতির বক্তব্যে বস্তিবাসী নেত্রী হুসনে আরা বেগম রাফেজা বলেন, আমরা পচনশীল বর্জ্য দিয়ে সার তৈরির ট্রেনিং করেছিলাম। আজ আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। এটা একটা বড় সাফল্য। আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে, বড় করে স্বপ্ন দেখতে হবে। বস্তিবাসীরা সার বানিয়ে সারাদেশে মানুষের চাহিদা মেটাবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বারসিকের পরিচালক এবিএম তৌহিদুল আলম, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফেরদৌস আহমেদ, নারী নেত্রী ও কবি কাজী সুফিয়া আখতার, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আকমল হোসেন।

এমএইচএন/কেএ