দেশের অন্তত ৪০ শতাংশ পোশাকশ্রমিক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ৬৭ দশমিক ২ শতাংশ পোশাকশ্রমিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর পোশাক খাতে বিদেশি কর্মী রয়েছেন ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ।  

এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এক হাজারের বেশি শ্রমিকের ওপর ওই জরিপ শেষে শনিবার (৬ মার্চ) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসিডি’র বিভিন্ন কর্মকর্তা ও গামেন্টস খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

‘এ সার্ভে রিপোর্ট অন দ্যা গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয, দেশের ৪০ শতাংশ পোশাকশ্রমিক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এর মধ্যে ফেসবুক ব্যবহার করেন ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ। শ্রমিকদের মধ্যে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ, ইমো ৩৩ শতাংশ, হোয়াটসঅ্যাপ ৪ দশমিক ৭ শতাংশ ও ভাইবার ২ দশমিক ১ শতাংশ।

এছাড়াও শ্রমিকদের মধ্যে মাসিক ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনার প্রবণতা রয়েছে ৮৬.৫ শতাংশের। ৭ দিনের প্যাকেজ কেনেন ৭ দশমিক ৫ শতাংশ শ্রমিক, ১৫ দিনের প্যাকেজ কেনেন ৩ দশমিক ৩ শতাংশ শ্রমিক। এছাড়া বিশেষ সময় বা উৎসবে ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনেন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ পোশাকশ্রমিক।

ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জরিপের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) ড. এ কে এম এনামুল হক। জরিপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে. এম. আব্দুস সালাম ও সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান যুক্ত ছিলেন।

জরিপে বলা হয়, দেশের এখন ৬৭ দশমিক ২ শতাংশ শ্রমিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এরমধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্যে বিকাশের ব্যবহারকারী ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ ও নগদের ব্যবহারকারী ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

জরিপের তথ্য বলছে, দেশের গার্মেন্টস খাতে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এর মধ্যে ম্যানেজমেন্টের ৮৪ শতাংশ শ্রমিকই বিদেশি। মার্চেন্ডাইজিংয়ে ৮ শতাংশ, টেকনিক্যাল অপারেশনে ১৬ শতাংশ, কাটিং ও ডিজাইনিংয়ে ৪ শতাংশ এবং অন্যান্য পদে ৮ শতাংশ বিদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।

এছাড়া, গার্মেন্টসে ৭৪ শতাংশ শ্রমিকই বিবাহিত, ২৫ শতাংশ শ্রমিক অবিবাহিত এবং ১ শতাংশ শ্রমিক বিবাহের পরও আলাদা থাকেন। শ্রমিকদের মধ্যে ২৭ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাস করেছেন। আর নারীদের মধ্যে এই হার ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ৪ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ শ্রমিকের ব্যাচেলর ডিগ্রী রয়েছে, নারীদের মধ্যে এই হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ।

এদিকে ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের ব্যবধানে দেশের পোশাক খাতে বছরে শ্রমিক বৃদ্ধির হার মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এরমধ্যে পুরুষ শ্রমিক বৃদ্ধির সংখ্যা ৪ শতাংশ। বিপরীতে নারী শ্রমিক কমেছে দশমিক ৭ শতাংশ।

এমআই/এইচকে