উন্নত দেশগুলো ক্ষতিপূরণ না দিলে এবারের জলবায়ু সম্মেলন বৃথা হবে
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এখন কথা কম, কাজ বেশি করার সময়। উন্নত দেশগুলো আমাদের কোনোভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে না। উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ ও সাপোর্ট না দিলে এবারের জলবায়ু সম্মেলন বৃথা হবে।
তিনি বলেন, এটি হ্যান্ড টু হ্যান্ড নয়, হার্ট টু হার্ট হিসেবে কাজ করতে হবে। বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ বন্ধ করে অস্ত্র কিনতে যে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে তার একাংশ পরিবেশের জন্য ব্যয় করা গেলেও আগামী প্রজন্মকে সুস্থ একটি পরিবেশ দেওয়া যেতে পারব।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) মিসরের শারম-আল-শেখে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস সেন্টার আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন সেই সেমিনারে মেয়রের বক্তব্য গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শহরের মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শুধু শহরের খালি জায়গা, সবুজ স্থান ও জলাশয়ে আবাসন গড়ে তোলা হচ্ছে। শহরে দারিদ্র্যের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের জন্য আবাসন, খাবার পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা খুব চ্যালেঞ্জিং। অবিলম্বে পদক্ষেপ না নিলে জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যয় বাড়তেই থাকবে।
বিজ্ঞাপন
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ২০৩০ সালের আগে মাত্র ৮টি জলবায়ু সম্মেলন বাকি রয়েছে। এখনই সময় কথা বলার। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে যথেষ্ট পরিমাণ জিএইচজি নির্গমন হ্রাস করতে হবে। যে দেশগুলো পদক্ষেপ নিচ্ছে তাদের সমর্থন ও সহায়তা করতে হবে।
তিনি বলেন, খুবই সামান্য পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন করা সত্ত্বেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশ প্রতি বছর জনপ্রতি গড়ে ০.৫ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে। অথচ উন্নত দেশগুলো ২০ থেকে ৩০ গুণ বেশি নিঃসরণ করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রতি ১৫.২ টন, যা প্রায় ৩০ গুণ বেশি। কিন্তু ২০৫০ সালের মধ্যে বা তার আগেই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের প্রায় ১৭ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে। অতএব এখনই উন্নত দেশগুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এএসএস/এসএসএইচ