‘মেগা প্রকল্পের আর্থ-সামাজিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী’
মেগা প্রকল্পগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো শুধু সাময়িক অবকাঠামোগত উন্নয়ন তা নয়, এসব বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। শক্তিশালী হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিও।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সাভারের বিরুলিয়ায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ‘পদ্মা সেতু : উন্নয়নের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
উপাচার্য বলেন, দেশের উত্তরবঙ্গে এক সময় মন্দা ছিল। কিন্তু যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ করার কারণে উত্তরবঙ্গের মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন এসেছে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে ওই অঞ্চলের মানুষ, দূর হয়েছে মন্দা। একইভাবে পদ্মা সেতু শুধু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে যাতায়াতের সংযোগ সৃষ্টি করেছে তা নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনেও এর ভূমিকা অপরিসীম। এই সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবেন। তাদের আয় বৃদ্ধি করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, একাত্তরে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ মাসের যে সশস্ত্র যুদ্ধ হয়েছে, যেটিকে আমরা গেরিলা যুদ্ধ বলি। সেই যুদ্ধে মূলত বাংলাদেশের মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়লাভের মধ্য দিয়ে আত্মপরিচয় নিশ্চিত করেছে। হাজার বছরের বঞ্চনা, নিগ্রহের শিকার সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঐক্যবদ্ধ করে মুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বাঙালিকে যদি স্বাধীনতা দেওয়া না যায়, তাহলে আরও হাজার বছর তারা বঞ্চিত থাকবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সাড়ে সাত কোটি মানুষ এখন ১৭ কোটি। আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেব। আমরা পৃথিবীর অন্য দেশে
মানবিক উচ্চতায় নেতৃত্ব দেব। পৃথিবীর অন্নহীন, বস্ত্রহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো মানসিকতা নিয়ে যদি বড় হতে পারি তাহলেই আগামীর পৃথিবী আরও বেশি সুন্দর হবে। ভাবনা এবং সৃজনশীলতা মানুষের মননশীলতাকে বাড়ায়। সুন্দরের চর্চা সুন্দরকে আরও অগ্রসর করে। সেই সঙ্গে সবাইকে দেশমাতৃকা গড়ে তোলায় আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির কলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আকন্দের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. সহিদ আখতার হুসাইন।
এছাড়া রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শতাধিক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সনদ, বই ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
এমএম/কেএ