বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ৩-৪টি দেশের কাছে তথ্য চেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ওই দেশগুলো থেকে তথ্য পেলে চার্জশিট দাখিল করবে সিআইডি।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় সিআইডি কবে চার্জশিট দেবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এই মামলাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। রিজার্ভ চুরির সঙ্গে যে তিন চারটি দেশের লিংক আছে সে দেশগুলোর কাছে আমরা তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে। সেখান থেকে তথ্য এলেই আমরা দ্রুতই রিজার্ভ চোরের ঘটনায় চার্জশিট আদালতে জমা দেবো।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকিং করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেন, দেশের অভ্যন্তরের কোনো চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে।

ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় মামলা করেন। 

এমএসি/জেডএস