মুগদা মেডিকেল কলেজ মাঠে খেলাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের হামলায় অন্তত ১৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলতে গেলে বহিরাগতরা বাধা দেয়। কথার কাটাকাটির একপর্যায়ে স্ট্যাম্প, ব্যাট ও ইট দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষার্থীদের আহত করে বহিরাগতরা। তবে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি তুচ্ছ ঘটনা, যা ইতোমধ্যেই সমাধান হয়েছে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ বি এম জামাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, শুনেছি বিকেলে কলেজ মাঠে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ছেলেদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টি জটিল কিছু না। খেলা নিয়ে তাদের মধ্যে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে থানা থেকে লোকজন এসে বিষয়টি মিটমাট করেছে।

মেডিকেল অধ্যক্ষ বলেন, ক্যাম্পাসের মাঠে আমাদের ছেলেরাও খেলে, বাইরের ছেলেরাও এসে খেলে। গেট সারাক্ষণ খোলাই থাকে। বিষয়টি নিয়ে আমরা এককভাবে কারও দোষ দেই না। বাইরের ছেলেরা কই যাবে? কোথাও তো তারা মাঠ পায় না। এক্ষেত্রে আমরা সবসময় তাদের বলি, আমাদের ছেলেরা যখন খেলে, তখন যেন তারাও খেলে।

মেডিকেল শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি প্রসঙ্গে ডা. জামাল উদ্দিন বলেন, ওইরকমভাবে হাসপাতালে কেউ ভর্তি নেই। আমরা কয়েকজনকে অবজারভেশনে রেখেছি। কারও কোনো সিরিয়াস ইনজুরি নেই যে অপারেশন বা ভর্তি লাগবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেলে মুগদা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা মেডিকেলের মাঠে খেলতে গেলে বহিরাগতরা বাধা দেয়। সেইসঙ্গে বহিরাগতরা শিক্ষার্থীদের বলে, মুগদা মেডিকেল কলেজ নামে কোনো মেডিকেল কলেজ নেই, হাসপাতালও নেই, মাঠও নেই। এখানে কোনো শিক্ষার্থীকে খেলতে দেওয়া হবে না। কথার কাটাকাটির একপর্যায়ে স্ট্যাম্প, ব্যাট ও ইট দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষার্থীদের আহত করে বহিরাগতরা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, বহিরাগতরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। আহত কয়েকজনের আগামীকাল (রোববার) পরীক্ষা রয়েছে। এখন তারা কীভাবে পরীক্ষা দেবে? আমরা চিন্তায় পড়ে গেছি। এই হামলার বিচার চাই।

টিআই/এসএসএইচ/