প্রায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলার আসামি হচ্ছেন আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আত্মীয় প্রিতিশ কুমার হালদার। তার আরও একটি পরিচয় আছে, তিনি আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের পরিচালকও ছিলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুমোদিত মামলায় তার বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে সম্পদের হিসাব দাখিল না করা ও  ৪ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ এ সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান মামলাটি দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।

দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক মামলা অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অনুমোদিত চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রিতিশ কুমার হালদার কমিশন থেকে ইস্যুকৃত সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হলেও নির্ধারিত সময়ে তিনি দাখিল করেননি। অন্যদিকে দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মোট ৪ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেখানে দুদক আইনের ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

চলতি বছরের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।

আলোচিত পি কে হালদার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৪টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতে ২৩টি মামলা ও এফএএস লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতে ১৩ মামলা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সম্পদের মামলা রয়েছে।

অন্যদিকে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিট ২০২১ সালের নভেম্বরে দাখিল করে দুদক। যেখানে ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে পি কে হালদারসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

আরএম/এসকেডি