যশোর চৌগাছা উপজেলার ১০০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে নির্মাণসামগ্রীর মানের কোনো বালাই নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে ব্যবহার হচ্ছে নিম্নমানের ইট, রড ও অন্যান্য সামগ্রী। 

২২ কোটি টাকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন নির্মাণকাজে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সিভিল সার্জনের তদন্ত কমিটিও অনিয়ম পেয়েছে।

দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুই সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে অভিযোগের সত্যতা মেলে। গতকাল সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন এবং দেয়াল নির্মাণে নিম্নমানের ইটের ব্যবহার, ত্রুটিপূর্ণ লিন্টন ঢালায়ের বিষয়টি উঠে আসে। এছাড়া নির্মাণকাজে অনিয়মের  প্রমাণ পায় সিভিল সার্জনের তদন্ত কমিটি।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে গতকাল সোমবার অভিযান পরিচালনা করে দুদক টিম। তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেন। ভবনের দেয়াল নির্মাণে নিম্নমানের ইটের ব্যবহার, ত্রুটিপূর্ণ লিন্টন ঢালায়ের বিষয়টি তারা দেখতে পান।

জানা যায়, যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণের কাজ চলছে। কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি টাকা। কিন্তু চলমান কাজে নিম্নমানের ইট, রড ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণে ২১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল এ প্রকল্পের আওতায় দুটি ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। একটি ছয়তলা বিশিষ্ট ৫০ শয্যার ভবন ও প্রশাসনিক ভবন। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দেয়ালে নিম্নমানের ইট এবং লিন্টন ঢালায়ে নিম্নমানের ইট-সুরকির ব্যবহার হয়েছে।

আরএম/এমএআর/