ষষ্ঠ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়ে দুটি পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (৭ মার্চ) ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এই পরিপত্রগুলো জারি করা হয়।

পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী সময়সূচি ও রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও আপিল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ এবং মনোনয়নপত্র আহ্বানের গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি, মনোনয়ন দাখিল, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতার সপক্ষে সমর্থনসূচক স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল ও যাচাই ইত্যাদি নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র-১ জারি করেছে ইসি।

পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা-অযোগ্যতা, প্রস্তাবক-সমর্থকের যোগ্যতা, জামানত, মনোনয়নপত্র বাছাই, আপিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র-২ জারি করেছে ইসি।

ষষ্ঠ ধাপের পৌর নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৮ মার্চ, মনোনয়পত্র বাছাই ১৯ মার্চ, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৪ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ ১১ এপ্রিল। ১১টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে।

ষষ্ঠ ধাপে যে পৌরসভাগুলোয় ভোট হবে সেগুলো হলো- পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ, ঝালকাঠির ঝালকাঠি সদর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা, কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী, ফেনীর সোনাগাজী, নোয়াখালীর কবিরহাট, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এবং যশোরের নওয়াপড়া (অভয়নগর)।

দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয় ১৬ জানুয়ারি। তৃতীয় ধাপে ৬২টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয় ৩০ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভার ভোট হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি এবং পঞ্চম ধাপে ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩১টি পৌরসভায় ভোট হয়। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়।

এসআর/এনএফ