ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাট্টা এলাকায় লতা সরকার নামে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারীকে ধর্ষণের পর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দগ্ধ অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দিবাগত আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে মারা যান তিনি।

নিহতের বোন পাখি সরকার অভিযোগ করে বলেন, আমার বোন একজন বাকপ্রতিবন্ধী। গতকাল সোমবার বাসার সামনে থেকে এক ব্যক্তি তাকে ফুসলিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে রেখে যায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

তিনি আরও জানান, আমার বোনের চেইন কানের দুল সব কিছু নিয়ে গেছে। তারা বেশ কয়েকজন ছিল বলে জানতে পেরেছি। আমার বোনের পাশে দুর্বৃত্তদের একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।

পাখি সরকার বলেন, গতকাল সোমবার থেকেই আমার বোনকে পাচ্ছিলাম না। এজন্য আমরা হারানো বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিলাম। আমাদের বাসা কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া এলাকায়। আমার বাবার নাম রতন সরকার।

শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাতে দগ্ধ অবস্থায় এক নারীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার রাত্রে সে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৬৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, ওই নারীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল সেটি ঘটনা সত্য। তবে সে ধর্ষিত হয়েছে কিনা সেটি ডাক্তারের রিপোর্ট ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়েরের পর মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

এসএএ/এমএ