চলতি বছরের নভেম্বরে ২০৪ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৮ শিশুসহ মোট ৪৩ জন। তার মধ্যে ছয় শিশুসহ ১২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আর এক শিশুসহ দুজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ছয়জন শিশুসহ আটজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। 

নভেম্বর মাসে দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নভেম্বরে নারী ও শিশু পাচারের পাঁচটি ঘটনা ঘটেছে। একজনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে আটজন। এর মধ্যে একজনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। 

শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ১৩ জন। এর মধ্যে চারজন শিশু। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে তিনজন। দুজন গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে এক গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। 

বিভিন্ন কারণে ছয় শিশুসহ ৩৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। দুজন কন্যাসহ ১৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১১ জন কন্যাসহ ২৪ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুজন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। 

পাশাপাশি নয় শিশু অপহরণের শিকার হয়েছে। এছাড়া এক শিশু অপহরণ চেষ্টার শিকার হয়েছে। একজন ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছে। তিন শিশু সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। 

বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে একটি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে দুটি। এছাড়া পাঁচ শিশুসহ ১০ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

জেইউ/কেএ