জঙ্গি সদস্যরা অবস্থান করছে এমন সন্দেহে রাজধানীর বনানীতে একটি আবাসিক হোটেল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। 

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল আদালত থেকে পালানো জঙ্গি এবং তাদের অনুসারীরা এই এলাকায় রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করছি।

অভিযানে কেউ আটক রয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযান শেষে এ বিষয়ে বলা যাবে। বনানীর কাকলি এলাকার হোটেল এবং মেসে অভিযান চলছে।

যোগাযোগ করা হলে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আ. আহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, জঙ্গি সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে পুলিশের ব্লক রেইড চলছে। রাত সাড়ে ৮টার পর বনানী এলাকায় ব্লক রেইড শুরু হয়। ব্লক রেইডের অংশ হিসেবে বনানী থানাধীন ইনসাফ নামের আবাসিক হোটেলে অভিযান চলছে। তবে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ব্লক রেইড চলাকালে কোনো জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়নি বলে জানান ডিসি আহাদ।

এদিকে অভিযানের এক পর্যায়ে রাত ১০টায় কাকলির ঢাকা মেসে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় ঢাকা মেসের সাতটি কক্ষের প্রতিটিতে প্রবেশ করে তল্লাশি করা হয়। পরে সন্দেহজনক কিছু না পাওয়ায় রাত সাড়ে ১০টার মেসটি থেকে নেমে আসে পুলিশ।

অভিযানের বিষয়ে মেসটির কেয়ারটেকার শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের মেসটিতে সাতটি কক্ষ রয়েছে। প্রতিটির কক্ষে অধিকাংশ বিদেশগামী লোকজন থাকেন। এছাড়া বিদেশ যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে আসা লোকজনও রয়েছেন। আমাদের মেসের অধিকাংশ অতিথি গ্রামের লোকজন। ভাড়া অল্প হওয়ায় গ্রামের বিদেশগামী যাত্রীরা আমাদের এখানে আসেন।

এদিকে কাকলির হাজী মেসেও অভিযান চালানো হয়। এ সময় মেসের একটি কক্ষে ছিলেন বগুড়ার মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী।

মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের কক্ষে মোট চারজন ছিলাম। এর মধ্যে আমরা দুজন আগামীকাল (রোববার) মালয়েশিয়ায় যাব বলে আজ মেসে উঠেছি। আর বাকি দুজন আমাদের আত্মীয়। রাত ১০টায় পুলিশ আমাদের কক্ষে প্রবেশ করে এবং আমাদের ব্যাগ তল্লাশি করে। তারা আমাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করেছেন। আমরা তখন পুলিশকে সবকিছু জানাই। পরে পুলিশ সদস্যরা আমাদের পাসপোর্ট ও ভিসা চেক করেন। এরপর তারা আমাদের রুম থেকে বের হয়ে যান। 

তিনি বলেন, পুলিশ নেমে যাওয়ার পর অন্য কক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকেও পুলিশ সদস্যরা জানতে চেয়েছেন তারা কেন ঢাকায় এসেছেন। অন্যান্য কক্ষের অধিকাংশ লোকজনও বিদেশগামী। তাদেরও পাসপোর্ট ও ভিসা চেক করেছেন পুলিশ সদস্যরা।

এমএসি/জেডএস