মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজ নিজ দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। সোমবার (৮ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা ২০২০-২১ এর অংশ হিসেবে উদ্ভাবন ও সেবা সহজীকরণ কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, উদ্ভাবন ও সেবা সহজীকরণ বিষয়ে দফতর ও সংস্থার উদ্যোগগুলো যেন বাস্তবায়ন হয় সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজ নিজ দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে আমরা নিজের জন্য অন্যের কাছ থেকে যে রকম প্রত্যাশা করি, সে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সেবা প্রার্থীদের সেবা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে উদ্ভাবনগুলো যেন টেকসই হয়। যেন এসব উদ্ভাবন জনকল্যাণে কাজে লাগানো যায়।

আন্তরিকতা ও সততার মধ্যে দিয়ে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের সেবা দেওয়ার ওপর নির্ভর করবে এ খাত কতটুকু সফল হবে। তাই নিজ নিজ জায়গা থেকে আমরা যদি নিজের দায়িত্ব পালন করি তাহলে দেশ ও সমাজ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ বলেন, প্রতিটি কাজেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের আরও নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে হবে। মৎস্য খাতে অনেক উদ্ভাবনীমূলক কাজ করার সুযোগও আছে।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও চিফ ইনোভেশন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল আরিফের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. শেফাউল করিম, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী ও শাহীন মাহবুবা। 

এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও দপ্তরগুলোর উদ্ভাবনী কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সফল উদ্ভাবকেরা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা ও বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

একে/ওএফ