কাজের দীর্ঘসূত্রিতা দূর করে সেবা সহজীকরণ ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেবাগ্রহীতাকে সেবাদানে রাজউকের সব কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাজউক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে রাজউক চেয়ারম্যান এ বিষয়ে ৭ দফা নির্দেশ প্রদান করে রাজউকের সব কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিটি ইতোমধ্যে রাজউকের সব সদস্য, সচিব, প্রধান প্রকৌশলী, সিস্টেম অ্যানালিস্ট, পরিচালক, নগর স্থপতি, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদ, প্রকল্প পরিচালক, উপ-পরিচালক, উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ, অথরাইজড অফিসার, নির্বাহী প্রকৌশলী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, লিঁয়াজো অফিসার, আইন কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।

রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা চিঠিতে ৭ দফা নির্দেশনায় উল্লেখ করেছেন, রাজউকের আওতাধীন চলমান সব প্রকল্প যথানিয়মে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।

সেবা সহজীকরণ হিসেবে রাজউক কর্তৃক দেওয়া সেবাসমূহ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেবা গ্রহীতাকে প্রদান করতে হবে।

রাজউক অনুমোদিত নকশার কোনো রকম ব্যত্যয় যেন না হয় সেদিকে সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে এবং প্রধান ইমারত পরিদর্শক ও ইমারত পরিদর্শকদের প্রতিনিয়ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করতে হবে।


ভবন নির্মাণের সময় অনুমোদিত নকশা ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করার জন্য অথরাইজড অফিসার, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক ও ইমারত পরিদর্শকদের নির্দেশনা দেওয়া হলো। অন্যথায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে দপ্তরের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী শূন্যপদসমূহে দ্রুত জনবল নিয়োগ প্রদান এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদনের পাশাপাশি কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি ও উৎসাহ প্রদানের জন্য দ্রুত পদোন্নতির কার্যক্রম সম্পন্ন করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাজউকের সেবা প্রদানে বিলম্বিত বা দীর্ঘসূত্রিতার কারণে দায়ী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

সব পর্যায়ের দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণকে স্ব-স্ব নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে দৈনন্দিন কার্যক্রমের ওপর জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হলো।

এএসএস/এমএ