ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে চাল-ডাল, লাঠি, ককটেল জমা করা হয়েছে খবরে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আজ একটা অফিসিয়াল ডে। পূর্বানুমতি ছাড়া সমাবেশ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ সোয়াত ও এম১৬ (একটি অ্যাসল্ট রাইফেল) ব্যবহার করা হয়েছে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

ঢাকার পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, আজ আমরা দেখেছি সোয়াতকে রাইফেল হাতে রাস্তায় নামতে, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সোয়াত নামে সাধারণত বিশেষ অভিযানে বিশেষ পরিস্থিতিতে!

এমন কি হলো? পরিস্থিতি কী খুবই খারাপ? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা শুনছি ওখানে অনেক ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, বিএনপি অফিস থেকে। ওখানে চাল-ডাল, খাবার-দাবার, লাঠি, চালের বস্তার মধ্যে ককটেল অনেক কিছু জমা করা হয়েছে বলে শুনেছি। নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে পুলিশের শক্তি বাড়ানো হয়েছে। আপনারা বলেন, একটা অফিসিয়াল দিন। পূর্বানুমতি নিয়ে সমাবেশ করেনি! এমন দিনে রাস্তা বন্ধ করে যান চলাচল বিঘ্নিত করবে সেটা তো কাম্য নয়।

আজ তাহলে কী ককটেলের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে এম১৬ ব্যবহার করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার বলেন, ককটেল শুধু নয়, সামগ্রিক নাশকতার বিরুদ্ধে এম১৬ ব্যবহার করা হয়েছে।

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে কেউ মারা গেছে কি না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এরকম তথ্য আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। খোঁজ নিতে হবে।

আজ ভিডিও ফুটেজে আমরা দেখলাম পুলিশ পল্টনে বিএনপির পার্টি অফিস ও তাদের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে, এটা কেন হলো? প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনি ভিডিও ফুটেজ কতোটুকু দেখেছেন আমি জানি না, আমি এখনো দেখিনি। আমি যতোটুকু জানি তাদের সমাবেশ ১০ ডিসেম্বর। আজ একটি অফিসিয়াল ডে। এই দিনে তারা নয়াপল্টনের রাস্তা দখল করে সমাবেশ করছে। রাস্তায় যানচলাচল বিঘ্ন ঘটিয়ে সমাবেশ না থাকলেও সেখানে জমায়েত হবে, এটা আইনগত নয়। এটা তারা ঠিক করেনি।

রাজধানীর প্রবেশ পথ গাবতলী, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে, তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে, যাদের অনেককে আটক করা হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মী হলেই, এমন প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এরকম কোনো তথ্য নেই। নিয়মিত চেকপোস্ট বসছে। কারণ হলো ১-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলছে। ১৪, ১৬ ডিসেম্বর, ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন আছে। এর আগে যাতে কোনো ধরনের নাশকতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে চেকপোস্ট বসিয়েছি। আমরা কোনো যাত্রীকে আটক বা ঢাকা আসা বন্ধ করিনি।

জেইউ/এমএইচএন/জেডএস