প্রথমবারের মতো কমনওয়েলথে ‘কমনওয়েলথ-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়েছে। মালাউইয়ের কৃষিতে সবুজ প্রযুক্তির প্রসারে বিশেষ অবদান রাখায় ‘প্ল্যানেট গ্রিন আফ্রিকা’কে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) লন্ডনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ‘কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’—এর সমাপনী অনুষ্ঠান ছিল। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে তার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্ল্যানেট গ্রিন আফ্রিকাকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।

২০২১ সালের নভেম্বরে গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলন চলাকালে শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি ও কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের (সিডব্লিউইআইসি) চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড যৌথভাবে এই পুরস্কারের ঘোষণা দেন। 

পরবর্তীতে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি সদস্য দেশের পরিবেশ-বান্ধব ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়। যার মধ্য থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ঘানা ও মালাউইয়ের চারটি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর কমনওয়েলথ সমর্থিত জুরিবোর্ড এই চার প্রতিষ্ঠান থেকে প্ল্যানেট গ্রিন আফ্রিকাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে।

সালমান এফ রহমান বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কমনওয়েলথের মহাসচিব এবং সিডব্লিউইআইসির চেয়ারম্যানকে ‘বঙ্গবন্ধু গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড' ঘোষণার জন্য ধন্যবাদ জানান। 

এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রার অর্জন ত্বরান্বিত করতে সিডব্লিউইআইসির গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ, জ্বালানি, জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়কমন্ত্রী লর্ড গোল্ডস্মিথ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, পরিবেশের অনুকূল ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, নারীর ক্ষমতায়ন ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশসহ কমনওয়েলথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে তাঁর সরকারের অসাধারণ ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের বছরের পর বছর ধরে আশ্রয় ও সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড কমনওয়েলথব্যাপী নতুন প্রজন্মকে পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে, বিশেষ করে জলবায়ুর সুরক্ষা সহায়ক ব্যবসা-বাণিজ্যে ‘বঙ্গবন্ধু গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ অসীম প্রেরণা যোগাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আগামীতেও এই পুরস্কার প্রদান অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজজের প্রতিনিধি, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং বিভিন্ন পেশাজীবীসহ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/কেএ