নারীদের অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে সরকার বেগম রোকেয়া পদক দিচ্ছে উল্লেখ করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বেগম রোকেয়া বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত। নারী শিক্ষা, অধিকার এবং নারী আন্দোলনে তার রয়েছে অসাধারণ অবদান।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ অনুষ্ঠানে পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া হবে। পদকপ্রাপ্তরা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করবেন। 

তিনি জানান, পদক প্রাপ্তদের প্রত্যেককে আঠারো ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম স্বর্ণনির্মিত একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্নপূরণের মাস। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালি এবং অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড আর লাল-সবুজের নিজস্ব পতাকা। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে দেশে নারীর ক্ষমতায়নের শুরু। তিনি সংবিধানে নারীর সম-অধিকার, মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের বীরাঙ্গনা সম্মানে ভূষিত, চিকিৎসা ও পুর্নবাসন করেন। তাদের কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন। 

নারী শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন ফরিদপুর জেলার রহিমা খাতুন। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন চট্রগ্রাম জেলার প্রফেসর কামরুন নাহার বেগম (অ্যাডভোকেট)। 

নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় সাতক্ষীরা জেলার ফরিদা ইয়াসমিন (জন্মস্থান খুলনা), সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় নড়াইল জেলার ড. আফরোজা পারভীন এবং পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন ঝিনাইদহ জেলার নাছিমা বেগম।

এসএইচআর/জেডএস