২০তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে নতুন সাজে সেজেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে অফিস ভবন, দুদকের মিডিয়া সেন্টার ও অফিসের পিছনের গেটজুড়ে দুর্নীতি বিরোধী ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে।

শুক্রবার (৯ডিসেম্বর) দুদক প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, ভবনের সামনে শোভা পাচ্ছে দুর্নীতি বিরোধী ব্যানার ও ফেস্টুন। যেখানে লেখা রয়েছে, দুর্নীতি বিরোধী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিশ্ব, কিংবা দুর্নীতি উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি, রুখবো দুর্নীতি, দুর্নীতি সইবো না, করবো না ও মানবো না কিংবা দুর্নীতির সময় শেষ, গড়বো সোনার বাংলাদেশ ইত্যাদি নানা স্লোগান। 

দিবসটি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এছাড়া দুদকের সার্বিক  নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দিবসটির তাৎপর্য ও আয়োজন উপলক্ষে গত একমাস ধরে দুদকের কর্মীরা ব্যস্ত সময় পার করেছেন।

এবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং ৪৯৫টি উপজেলায় বড় পরিসরে উদযাপন হচ্ছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। একই সাথে দেশে সব সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত  প্রতিষ্ঠান এবং পিকেএসএফসহ অন্যান্য এনজিওতে দুর্নীতি বিরোধী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

দুর্নীতির বিরোধী দিবস উপলক্ষে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান ঢাকাপোস্টকে বলেন, আমাদের দেশের মানুষেরা সহনশীল। নিজেরা ভালো থাকতে চায়, অন্যের বিষয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায় না। তবে স্বস্তির জায়গা হচ্ছে দুর্নীতিবাজদের অনেকেই অপছন্দ করে। মানুষের ভেতরে এ ধরণের চেতনা জাগ্রত হয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি করে এক ধরণের মানুষ অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে আরাম-আয়েশে জীবন কাটাবে, আর সাধারণ মানুষ কষ্ট করবে। এটির বিরুদ্ধে মানুষ জেগে উঠেছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক। যারা দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্তের আওতাধীন রয়েছেন, তারা জানেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের ক্ষেত্রে দুদক কতটা হিংস্র। কাজেই দুদককে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। দুদক একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে বাধা দেওয়ারও কারও শক্তি নেই।

জাতিসংঘ ২০০৩ সালের ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সে হিসেবে এবার হচ্ছে ২০তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। জাতিসংঘ সারা বিশ্বকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যেই ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনেস্ট করাপশনের (আনকাক) মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ আনকাকের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন শুরু করে। যদিও সরকারিভাবে ২০১৭ সাল থেকে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।

আরএম/এফকে