সায়েন্স ল্যাব-নিউ মার্কেট এলাকায় গণপরিবহন কম
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চাপা উত্তেজনা দেখা গেলেও সায়েন্স ল্যাব-নিউ মার্কেট এলাকা অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।
যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। খুলেছে মার্কেট, বিপণিবিতানসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার ছুটির দিন হিসেবে সড়ক কিছুটা ফাঁকা থাকলেও অন্যান্য কার্যক্রম চলছে স্বাভাবিকভাবেই।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার দুপুরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত ও এলিফ্যান্ট রোড ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও বেশি চলাচল করছে ব্যক্তিগত যানবাহন। তাছাড়া বাসগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল কম। ভিড় নেই কোনো বাসস্ট্যান্ডেও।
দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা খুব বেশি নেই। বিক্রেতারা বলছেন, শুক্রবার জুমার নামাজের আগ পর্যন্ত কিছুটা ফাঁকাই থাকে। ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয় দুপুরের পর থেকে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অন্য ছুটির দিনের মতোই আজকের বেচাকেনা হবে- এমন প্রত্যাশার কথাও জানালেন তারা।
বিজ্ঞাপন
নুরজাহান সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষের মধ্যে একটু আতঙ্ক তো রয়েছেই। তবে জুমার নামাজের পরে বোঝা যাবে কী অবস্থা তৈরি হয়। আমরা আশা করছি অন্যান্য দিনের মতোই বেচা-বিক্রি জমজমাট হবে। সপ্তাহে মধ্যে শুক্রবার বিকেলেই সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয়। তাছাড়া এই এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যাও হয়নি। সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে।
• আরও পড়ুন : চাপা আতঙ্কে যাত্রী কমেছে দূরপাল্লার বাসে
সায়েন্সল্যাবের বসুন্ধরা গলির বাসিন্দা হাফিজুর বলেন, সবকিছুই তো স্বাভাবিক আছে। শুধু ফেসবুকে এককেন্দ্রিক নিউজ ছবির কারণে আতঙ্কে ছিলাম।এখন বাইরে বের হয়ে দেখছি পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক। আমরা সাধারণ মানুষজন প্রত্যাশা করি কোনো ধরনের সহিংসতা বা সমস্যা তৈরি যেন না হয়।
১০ ডিসেম্বর ঘিরে কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। নাশকতা রোধে আমরা সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। আমাদের মোবাইল টিম, পেট্রোল টিম সবকিছু স্বাভাবিকভাবে মনিটর করছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর আমরা পাইনি। সতর্ক রয়েছি যেন কোনো ধরনের অস্বাভাবিক বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
আরএইচটি/এনএফ