জাতীয় প্রেস ক্লা‌বে উ‌ব্লিউ‌জেএন‌বি আয়ো‌জিত অনুষ্ঠানে কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ‌রিয়ার আলম/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বিদেশি মিশনগুলোতে সরকারের চিঠি পাঠানোর কারণ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ‌রিয়ার আলম।

তিনি ব‌লে‌ন, দেশে বড় কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা সবাইকে জানিয়ে রাখি। এটা নতুন কিছু নয়। স্বাভাবিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। আমরা কূটনীতিকদের জানিয়েছি, কারণ তারা (বিএনপি) ১০ তারিখের পর থেকে নানা সময়ে বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে কূটনীতিকদের স‌ঙ্গে দেনদরবার করছেন। বিএনপির দেনদরবার ঠেকাতেই তথ্যগুলো জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লা‌বে উইমেন জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (উ‌ব্লিউ‌জেএন‌বি) আয়ো‌জিত এক অনুষ্ঠান শে‌ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবা‌বে এসব কথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে সরকার সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলোতে একটি চিঠি পাঠায়।

এ বিষ‌য়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থে‌কে কূটনীতিকদের ব্রিফিং কর‌তে চায় না সরকার। তাই মিশনগু‌লো‌তে চি‌ঠি পা‌ঠি‌য়ে তথ্য জা‌নি‌য়ে রাখা হ‌য়ে‌ছে।

ঢাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র ক‌রে বিএন‌পি প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে অভিযোগ করে শাহ‌রিয়ার আলম ব‌লেন, বিএনপি ১০ তারিখ ঘিরে নানা প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে দেশে এবং দেশের বাইরে। তারা মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে লবিস্টের পেছনে। তারা নিশ্চিত ছিল নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসবে, সেটাকে ঘিরে তারা উৎসব আমেজে ১৯ তারিখ পালন করতে চেয়েছিল। তারা ভেবেছিল সবাইকে জানাবে সরকারের কোনো বন্ধু নেই। কিন্তু বিএন‌পির পুরো পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

প্রতিমন্ত্রী ব‌লেন, বিএনপি অতি উৎসাহী হয়ে ৭ তারিখ থেকে রাস্তায় নেমেছিল। রাজনীতি পিকনিক নয়। বিএনপির নৈতিক স্খলন হয়েছে বলেই সোহরাওয়ার্দীতে তারা সমাবেশ করেনি। তারা সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ ক‌রে‌নি, কারণ তারা এত লোক জমায়েত করতে পারবে না।

মিশনগু‌লো‌তে পাঠা‌নো চি‌ঠি‌তে বলা হয়, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৭ ডিসেম্বর দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। ওই দিন তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল না। এমনকি পুলিশের অনুমতিও তারা নেয়নি। অবরোধের কারণে নয়াপল্টন এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় পুলিশ তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু বিএনপির বিক্ষোভকারীরা তা অগ্রাহ্য করে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের পাশাপাশি যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে। তাদের হামলায় পুলিশের ৪৯ জন সদস্য আহত হন, এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

চিঠিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী ব‌লেন, মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছিল তা‌দের। তাদের থেকে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। সে কারণে তা‌দের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

এনআই/এসকেডি