ভালোবেসে বিয়ে করে সংসার করা হলো না সুমাইয়ার
নিহত সুমাইয়া/ ছবি : ঢাকা পোস্ট
চার মাস আগে হুমায়ুনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সুমাইয়া (১৭)। কিন্তু সংসার করা হলো না তার। গতকাল রাতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় সুমাইয়াকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছেন স্বামী হুমায়ুন।
বিজ্ঞাপন
মৃত সুমাইয়ার মা আফরোজা অভিযোগ করে ঢাকা পোস্টকে পোস্টকে বলেন, আমার স্বামী কুয়েতে থাকেন। আমার মেয়ে চার মাস আগে ভালোবেসে হুমায়ুনকে বিয়ে করে। বিয়েতে আমরা রাজি ছিলাম না। আমার মেয়ের বয়স অনেক কম। হুমায়ুন বিবাহিত ছিল, তার একটি সন্তানও আছে। কিন্তু এসব বিষয় বিয়ের আগে আমার মেয়েকে জানায়নি সে। বিয়ের পর থেকেই সে আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য মারধর করত। বলত বাবার বাড়ি থেকে চার লাখ টাকা নিয়ে আয়। গতকাল ও সোমবার আমার মেয়ে জানায়, হুমায়ুনকে চার লাখ টাকা দিতে হবে ব্যবসা করার জন্য। টাকা না দেওয়ায় আমার মেয়েকে সে হত্যা করে এখন আত্মহত্যার নাটক সাজাচ্ছে।
আরও পড়ুন : ঢামেকের প্যাথলজি বিভাগ : ‘অনিয়ম’ যেখানে নিয়ম
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে সে যদি হত্যাই না করে থাকে তাহলে পালিয়ে গেল কেন? আমার মেয়ে যাত্রাবাড়ী থানার গাজীরগাঁও লবণ ফ্যাক্টরি গলির চাঁদ মাঠ এলাকার ৩২/৭৯ নম্বর টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকত।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন। মৃতের পরিবার মরদেহ ময়নাতদন্তে না পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছিল। কিন্তু আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন : ‘চিকিৎসক খুঁজে পাচ্ছেন না রোগী, রোগী পাচ্ছেন না চিকিৎসক’
তিনি আরও বলেন, প্রথমে সুমাইয়ার মা আমাদের কাছে দাবি করেছিলেন, হুমায়ুন অনেক ভালো মানুষ। তাই তারা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নিতে চান। তারপরও পুলিশ প্রকৃত ঘটনা জানতে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এখন তারা দাবি করছেন, সুমাইয়াকে হত্যা করা হয়েছে। তবে তারা এখনও মামলা করেননি। লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। হুমায়ুনকে এখনও পাইনি আমরা। তিনি পালিয়ে গেছেন কি না সেটাও এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। মামলা দায়ের করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএএ/এসকেডি