ফাইল ছবি

আর্থিক ক্ষতি এড়াতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বকেয়া বিল মওকুফের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। ফলে বকেয়া থাকা ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের বিকল্প নেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের। বিপিসির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড বিমান বাংলাদেশেকে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে থাকে। 

জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় ১৩০০ থেকে ১৪০০ টন জেট ফুয়েল কিনে থাকে  বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সে হিসাব অনুযায়ী মাসে ৩০০ কোটি টাকার তেল কেনে সংস্থাটি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে লোকসানের কথা উল্লেখ করে বিমান বাংলাদেশ জেট ফুয়েলের দাম বকেয়া রেখেছে। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিমানের কাছে তেল বিক্রি বাবদ পদ্মা অয়েলের বকেয়া পাওনা ছিল ২ হাজার ১০৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে কেবল ২০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে তারা।

এর আগে বিমানের পাওনা আদায়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করে জ্বালানি বিভাগ। জ্বালানি বিভাগ থেকে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও জানানো হয়। কিন্তু তাতেও পাওনা পরিশোধ করেনি বিমান বাংলাদেশ।

ব্যাংক ঋণে কেনা এই তেলের দাম বকেয়া থাকায় পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডকে ঋণের সুদ গুনতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিমানে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেয় জ্বালানি বিভাগ। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নানা দেনদরবার করে সে নির্দেশ স্থগিত করে।

সম্প্রতি বাকি থাকা বকেয়া বিল ফের মওকুফের আবেদন করে বিমান বাংলাদেশ। সে আবেদন খারিজ করে বিপিসির তরফ থেকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে- এভাবে টাকা মাফ করে দেওয়ার কোনো বিধান নেই।

এ বিষয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিমান তাদের বকেয়া থাকা বিল মওকুফের আবেদন করেছে। কিন্তু সেটা করা সম্ভব নয় বলে আমরা জানিয়ে দিয়েছি। কারণ তাদের বকেয়ার জন্য পদ্মা অয়েল ক্ষতির মুখে পড়েছে। মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এখন বিমান বাংলাদেশ কীভাবে বকেয়া পরিশোধ করবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।

ওএফএ/আরএআর