তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, একদিন যে পাকিস্তানের শাসকরা বাঙালিকে তাচ্ছিল্য দেখিয়েছিল, সেই পাকিস্তানই আজ আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আমরা সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অনেক এগিয়ে গেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন মাথা পিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পর ভারতের গণমাধ্যমে এ নিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশের এমন সাফল্যে আমাদের গণমাধ্যম তেমন সরব হয়নি।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতারের সদর দপ্তরে মহান বিজয় দিবস ও বাংলাদেশ বেতারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আমাদেরকে কৃষির মডেল হিসেবে বিশ্বে উপস্থাপন করে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দ দেশ ছাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছে। তারা এটিকে বাঙালির সেতু মনে করে। আর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হবে উপমহাদেশের প্রথম সড়ক টানেল।

বাংলাদেশ বেতারকে দেশের ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, যেখানে অন্য গণমাধ্যম পৌঁছাতে পারে না, সেখানে বেতার তরঙ্গ পৌঁছে যায়। সুতরাং বেতার মানুষের বন্ধু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বেতার বড় ভূমিকা রাখবে।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানমালা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্য গণমাধ্যমগুলোতেও প্রচারের নির্দেশনা দেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) এবং বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খাদিজা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ও বেতারের সাবেক পরিচালক আশরাফুল আলম ও বেতারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) নাসরুল্লাহ মো. ইরফান বক্তব্য দেন। 

সাংস্কৃতিক পর্বে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের সমবেত গান, শিমুল মোস্তফার আবৃত্তি, শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের নৃত্যের পাশাপাশি  জনপ্রিয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।

আরএআর