তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলম বলেছেন, ওটিটি প্লাটফর্মের কন্টেন্টগুলো যেন দেশীয় মূল্যবোধ বজায় রেখে তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে বিতর্কিত কন্টেন্ট পরিহার করতে হবে। তাই অটোমেটিক ভেরিফিকেশন সিস্টেম আনা যেতে পারে। পাশাপাশি কন্টেন্টগুলো আর্কাইভের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। অল এক্সেসিবিলিটির আওতায় যারা শ্রবণ প্রতিবন্ধী তাদের জন্যও কন্টেন্ট প্রচারের একটা উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) এসপায়ার টু ইনোভেশন (এটুআই) আয়োজিত ‘ওটিটি প্লাটফর্ম ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-২০২২’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। তার পরবর্তী লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করা। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। আমাদের গৃহীত যাবতীয় উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছি।

তিনি বলেন, টেলিভিশন বা অন্যান্য ভিজুয়াল মাধ্যম জনজীবনে একটা প্রভাব ফেলে। এন্টেনা, ডিশ নানা মাধ্যম এলেও বর্তমানে সবকিছুই ইন্টারনেটভিত্তিক হয়ে গেছে। সুতরাং সামনের দিনে ওটিটি প্লাটফর্মকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। ওটিটি প্লাটফর্ম বিষয়ে নীতিমালা তৈরি হচ্ছে।

জিয়াউল আলম বলেন, বর্তমানে বঙ্গ, টফি, চরকি ওটিটি মাধ্যমে কাজ করছে। প্লাটফর্মের নির্মাতারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। এই নতুন প্রযুক্তি বা প্লাটফর্মগুলোকে আরও ডেভেলপ করতে হবে। চ্যালেঞ্জগুলোকে যদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে ওটিটি প্লাটফর্মগুলো স্টার্টআপ হয়ে উঠতে পারে। কারণ ধীরে ধীরে এটি বিজনেস স্টেজে রূপান্তর হচ্ছে।

ওএফএ/এসএসএইচ/