ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, গত ৫০ বছর ধরে আদি বুড়িগঙ্গা শুধুমাত্র ভরাট হয়েছে। ময়লা-বর্জ্য দিয়ে এটা সয়লাব করা হয়েছে। এ প্রথম আমরা আদি বুড়িগঙ্গাকে পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। কার্যক্রমটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং দুরূহ। চারপাশ দিয়ে দখল করে এটাকে সংকীর্ণ করে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, যে পাশে আমরা দাঁড়িয়ে আছি সেটার মাঝামাঝি জায়গায় এখন সরু পানি প্রবাহের যে জায়গাটা দেখা যাচ্ছে নদীটা ততটুকু বিস্তৃত ছিল। কিন্তু এখন আমরা এটার প্রশস্ততা প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি এবং আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান উচ্ছেদ, পরিষ্কার ও খনন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, দখলদারদের নানাবিধ বাধা উপেক্ষা করেই বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখানে অনেক বাধা ছিল। অনেকগুলো মামলাও করা হয়েছে। হাইকোর্ট ডিভিশনে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলকে ঘিরে স্বপ্নের কথা জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। সেটার আওতায় আমরা কাজ শুরু করেছি। এছাড়াও এরই মাঝে আমরা পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি এবং নতুন করে প্রকল্প প্রাক্কলনের কাজ চলমান রয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো পূর্ণভাবেই নদীটাকে পুনরুদ্ধার করা। স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা, যাতে করে আর কেউ এটা দখল করতে না পারে। আর নদীতে কেউ যেন ময়লা-বর্জ্য ফেলার সুযোগ না পায়। তাছাড়া নদীর দুই পাশ দিয়ে হাঁটার পথ, সাইকেল চালানোর পথ, গণপরিসর ব্যবস্থা করা যাতে করে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি