অনুষ্ঠানটি ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনার। সেই অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা কোনো কাজে সচিবালয়ে গেলে ঢুকতে পারি না, মন্ত্রণালয়ে কাজে যেতে পারি না, সেখানে সম্মান পাই না।

বিষয়টির একটি সমাধানমূলক ব্যবস্থার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কার্ড দেখিয়ে কাজের জন্য সপ্তাহে একদিন সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যাদের কার্ড আছে সেই বীর মুক্তিযোদ্ধারা যেন তাদের যেকোনো কাজে সচিবালয়ে সপ্তাহে একদিন প্রবেশ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা অবশ্যই করে দেবো। এ বিষয়ে আমরা সচিবালয় নোটিশে সবাইকে জানিয়ে দেবো। সেইসঙ্গে প্রতিটি ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যেন সম্মান পান এবং কোনো রকমের ভোগান্তি ছাড়াই যেন তাদের সব কাজ সচিবালয়ে করে আসতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আমরা করব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মীর জাফরের মতো বিশ্বাসঘাতকদের বংশধররা এখনো বেঁচে রয়েছে। যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সহ্য করতে পারে না, যারা নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতিত্ব ও দেশ স্বাধীন করার অবদান রেখেছে স্বীকার করে না। সেজন্য তারা নানান ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা যতদিন বেঁচে আছি সবাই একসঙ্গে থাকব, একসঙ্গে চলব। আমরা সবসময় বাংলাদেশের বিজয়ের কথা বলব। আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছি তখন আমাদের কাছে তেমন হাতিয়ার ছিল না, শুধু একটি স্লোগান ছিল তা হলো জয় বাংলা। আমাদের দাবি ছিল, জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগানে পরিণত করার। আজকে সেটা জাতীয় স্লোগানের পরিণত হয়েছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমানসহ আরও অনেকে।

এএসএস/কেএ