নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছেন। আমাদের পতাকাবাহী জাহাজ ছিল ৬১টি। সেখান থেকে ৯২টিতে উন্নীত হয়েছে। এক বছরের মধ‍্যে ২০০ থেকে ৩০০ এর মধ‍্যে চলে যাবে। আমাদের রিজার্ভের সিংহভাগ আসবে মেরিটাইম সেক্টর থেকে।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে নৌ-স্থাপত্য এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত ‘মেরিন টেকনোলজি বিষয়ক ১৩তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ‍্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নৌ-স্থাপত্য ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ বিরাট ভূমিকা রাখবে এবং সুনীল অর্থনীতির পথ দেখাবে। বাংলাদেশে মানসম্পন্ন অনেক শিপইয়ার্ড আছে। সেখানে উন্নতমানের জাহাজ তৈরি হয়। জাহাজ নির্মাণের জন‍্য ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। তারা আমাদের দেশের সাথে মেরিটাইম সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শিমুলিয়াতে ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে। নগরবাড়ি, বাঘা-বাড়ী ও নোয়াপাড়া ন‍ৌ-বন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর ফলে নৌপথে পণ‍্য পরিবহন সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। রাস্তার ওপর চাপ কমবে। 

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। পায়রা বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ চলছে। সেটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের হাব হবে। ৩৭টি অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর নিয়ে কাজ করছি। মুক্তারপুর, খানপুরে ইংল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো নির্মিত হচ্ছে। মুক্তারপুর বাংলাদেশ-ভারতের পোর্ট অব কল ঘোষণা করা হয়েছে। পানগাঁওয়ে ইংল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অধিকার আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্য কেউ আমাদের প্রতিষ্ঠিত করে দেবে না। আমাদের মেধা আছে, প্রতিভা আছে এটা পৃথিবীতে সুনাম অর্জন করেছে। যদি সমন্বিতভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পাব।  

এসএইচআর/এসকেডি