নিরাপদ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে খাদ্য প্রকৌশলীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অডিটোরিয়ামে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।

আলোচকরা বলেন, দেশ থেকে অপুষ্টি দূরীকরণ, মানুষের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা, খাদ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরিসহ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে এ দেশের খাদ্য প্রকৌশলীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।

সেমিনারে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, নিরাপদ খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ হোক খাদ্য প্রকৌশলীদের অঙ্গিকার। খাদ্য প্রকৌশল, প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংযোগ আরো নিবিড় করার মধ্য দিয়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যা ফুড অর্গানাইজেশন নেতৃত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

ফুড অর্গানাইজেশনের সভাপতি আব্দুল মতিন বলেন, সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম সারা দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়ে নিরাপদ খাদ্যের প্রচারে কাজ করবে। এ বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ফুড অর্গানাইজেশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক জামিউর রহমান বিগত বছরগুলোর সাংগঠনিক কার্যক্রম ও আগামীর পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মো. কামাল হোসেন, অ্যামানো এনজাইমের গবেষণা সহকারী ড. শহিদুল ইসলাম, কেপি ইথনিক ভেজিটেবলস রিসার্চ সেন্টারের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. কবীর হোসেন তালুকদার, খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা  বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মু. শফিউর রহমান প্রমুখ।

এএসএস/এফকে