রাজধানীর খিলগাঁওয়ে চুরি দেখে ফেলায় নিরাপত্তা কর্মী কাজী সালাউদ্দিন উরফে মাসুদকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১০ মার্চ) সকাল ৭টায় খিদমাহ হাসপাতালের বিপরীত পাশের ফুটপাত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে খিলগাঁও পুলিশ।

খিলগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, খিলগাঁও চৌরাস্তার তিনটি দোকান সীমান্ত ইলেকট্রনিক্স, রেখা জুয়েলার্স ও লিজা টেলিকমে চুরি হয়। কি পরিমাণ মালামাল চুরি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে, পরে সব জানা যাবে। এখানের দোকান মালিকরা ছোট বড় দোকান হিসেবে ৩০০-৫০০ করে মাসিক হারে বেতন দিত।

নিহতের ছেলে সাদ্দাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বাবা ১৫ দিন হলো সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি নিয়েছে। রাত ১১টার দিকে খাবার খেয়ে ডিউটিতে আসে। সকাল ৯টার দিকে একজন পরিচিত লোক আমাকে ফোন করে বলে তোর বাবা অসুস্থ খিদমাহ হাসপাতালের পাশে আছে। পরে তাড়াতাড়ি এসে দেখি কারা যেন আমার বাবাকে কুপিয়ে ফুটপাতের ওপর ফেলে রেখে গেছে। কয়েকজন দোকানদার মিলে আমার বাবাকে রাতে ডিউটির জন্য রেখেছিল।

নিহতের গ্রামের বাড়ী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত কাজী আয়াজউদ্দিনের ছেলে। নিহত সালাউদ্দিন তার ছেলের সঙ্গে মেরাদিয়া নতুন কমিশনার গলিতে ভাড়া থাকতেন।

খিলগাঁও থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুজিত কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সকাল ৭টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসি। আমরা জানতে পেরেছি তিনটা দোকানে চুরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা  ধারণা করছি চুরি দেখে ফেলায় তাকে হুমকি মনে করায় কুপিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, ঘটনাটি রাত সাড়ে ৩টা থেকে ভোর ৬টা মধ্যে হয়ে থাকতে পারে। তার কপালে ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। কি কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।

ওএফ