চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তেল বিক্রি করে ৯ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। 

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ।

আরও পড়ুন : জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ব্যাখ্যায় যা বলল সরকার

তিনি বলেন, গত নভেম্বর মাসে বিপিসি অকটেন, পেট্রোলসহ অন্যান্য তেল বিক্রি করে মুনাফা করেছে ১৯০ কোটি টাকা। কিন্তু একই সময়ে ডিজেলে লোকসান হয়েছে ২৩৩ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে গত মাসে জ্বালানি তেল বিক্রি করে মোট ৪৩ কোটি টাকা লোকসান করেছে বিপিসি। পরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১০৩ ডলার থাকলে আমরা ব্রেক ইভেনে থাকি। কিন্তু এর বেশি হলেই আমাদের লোকসান হয়। এখনো আমাদের প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে ২ থেকে ৩ টাকা লোকসান হচ্ছে।

বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি বিশ্ববাজারে ডিজেলের দাম কমেছে। তবে এখন আবার বাড়তির দিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে ডিজেলে লোকসান দিতে হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সব মিলে বিপিসির লোকসান হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। এজন্য তহবিলেও টান পড়েছে। এখন জমা আছে ২০ হাজার কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। সেই সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

এর আগে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়। সে সময় এই দুই জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। 

ওএফএ/এসকেডি