আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসিটিভিতে রসিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন ইসির কর্মকর্তারা/ ছবি : ঢাকা পোস্ট

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যালটের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনটা (ইভিএম) স্লো।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিকাল সাড়ে ৪টার পর অফিসিয়াল ভোটগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইভিএমে ধীরগতি দুটি কারণে হয়। ভোটার উপস্থিতি বেশি হলে হয়। অবশ্য এর ইতিবাচক দিক আছে। ইভিএমের সমস্যা সবসময় একই। এখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি হয়েছে। ইভিএম ব্যালটের চেয়ে স্লো। এছাড়া ভোটার উপস্থিতিও বেশি হওয়ায় রসিকের ভোটগ্রহণ রাত পর্যন্ত হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি ব্যাপক ছিল। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলকও হয়েছে।

আরও পড়ুন : রংপুরে ভোটার উপস্থিতি প্রচুর : সিইসি

সিইসি বলেন, তুলনামূলকভাবে ইভিএম ব্যালটের চেয়ে স্লো। এখনো লোক লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। ৪টা পর্যন্ত ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। মোট ভোট পড়ার হার ৬০ শতাংশের বেশি হতে পারে।

সিইসি আরও বলেন, বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব কি করবো না এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা সাধারণত সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব সে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি। তবে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পক্ষে যদি যৌক্তিক কোনো কারণ না থাকে, অর্থের অপচয় হবে কিনা আমরা সে বিষয়টি মাথায় রাখব। আমরা এটি নিয়ে ফ্যাশন করতে চাচ্ছি না। এটা যেন ভোটগ্রহণকে অর্থ বহন করে, এটার যেন উপযোগিতা থাকে তা নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত নেব।

এর আগে, গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পায় কমিশন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মাঝ পথে ঢাকা থেকে পুরো আসনের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ পদক্ষেপে বিভিন্ন মহলের প্রশংসাও পায় ইসি। তবে সরকার দলের কয়েকজন বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করেন।    

আরও পড়ুন : উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে রংপুরে : সিইসি

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে সিইসি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেনি এ কারণে সুন্দরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে বলে মনে হয়। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রশাসন এবং পুলিশ এবং আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তা যারা আছেন, তারা সকলেই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন এবং প্রচুর সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে সেটা যেন মোকাবিলা করা যায় এ লক্ষ্যে। কিন্তু সে রকম কিছু হয়নি। একটা জিনিস খুবই সুখকর, সেটা হচ্ছে- মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে সংযমের সঙ্গে দাঁড়িয়ে অবস্থান করছে। এটা একটা ভালো দিক।

তিনি বলেন, আমাদের কমিশনের অধীনে এখন পর্যন্ত যেসব জায়গায় নির্বাচন হয়েছে সেসব বিবেচনায় রসিক নির্বাচনে সহিংসতা অনেক কম হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষ হয়নি। এ ধারাটা যদি ধরে রাখতে পারি আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত, ইতিবাচক দিক যেটা হবে, সাধারণ নির্বাচনেও মানুষ ভোটকেন্দ্রে আগ্রহ সহকারে উপস্থিত হবে।

রসিকে ভোট দেওয়ার বিলম্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ইভিএম স্লো এটা সত্য, আঙ্গুলের ছাপ না মেলাটা বড় কারণ। তবে এখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি ছিল। ভোটের পর আমরা দেখব যে এখানে অস্বাভাবিক কোনো কারণে বিলম্ব হয়েছে কিনা। তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

এসআর/এসকেডি