কিছুক্ষণ পরেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও যাবেন সরকারপ্রধান। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উদ্বোধনী দিনে আমন্ত্রিত অতিথিরা মেট্রোরেলে চলার সুযোগ পাবেন। তবে তাদের ৫০০ টাকা দিয়ে স্থায়ী কার্ড সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী যাত্রার একজন যাত্রী হিসেবে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করছি। প্রধানমন্ত্রীসহ উদ্বোধনী যাত্রার সব যাত্রী ৫০০ শত টাকা হারে টিকিট ক্রয় করে মেট্রোরেলের যাত্রী হচ্ছেন।

এদিকে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে লিখেছেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও, ঐতিহাসিক যাত্রার জন্য প্রস্তুত। সকল আমন্ত্রিত অতিথিকে নিজের টাকায় ৫০০ টাকার (টিকিট) রিচার্জ কার্ড কিনতে বলা হয়েছে।

একই দিন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মেট্রোরেলের ৫০০ টাকার একক টিকিট বা কার্ড কিনেছেন। তিনি সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, প্রস্তুত। উত্তরা থেকে আগারগাঁও চলবে। আগামীকাল দেখা হবে।

মেট্রোরেলের টিকিট নিয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলে যাত্রা করার জন্য দুই ধরনের টিকিট বা পাস পাওয়া যাবে। এর মধ্যে একক যাত্রার টিকিট বা কার্ড স্টেশনের বাইরে নেওয়া যাবে না। এটি স্টেশনের বাইরে বহন করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

এই টিকিট বা কার্ড শুধু ক্রয়ের তারিখে একবারের জন্য ব্যবহারযোগ্য। প্রবেশ গেটে টিকিট স্পর্শ করানোর পর সর্বোচ্চ ১০০ মিনিট কার্যকর থাকবে। অনুমোদিত দূরত্ব বা সময়সীমা অতিক্রম করলে অতিরিক্ত ভাড়া প্রযোজ্য হবে।

টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) থেকে একবারে সর্বোচ্চ পাঁচটি টিকিট কেনা যাবে। হ্রাসকৃত মূল্যে বা ছাড়ে কেনা টিকিট কোনোক্রমেই হস্তান্তরযোগ্য নয়।

এনআই/জেডএস