মেট্রোরেলের উদ্বাধনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের/ সংগৃহীত

মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার পর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সুধী-সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় আজ মেট্রোরেল দৃশ্যমান। আজ বাংলাদেশের জন্য আনন্দের দিন। রাজধানীবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বপ্নপূরণের দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের মানুষ একের পর এক অর্জন করছেন স্বাধীনতার সুবর্ণ ফসল। মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আপনার সরকারের সাফল্যের মুকুটে যোগ হতে যাচ্ছে আরেকটি হিরন্ময় পালক। তাই আজ দিকে দিকে ধ্বনিত হচ্ছে শেখ হাসিনার অর্জন, গণপরিবহনে মেট্রোরেল সংযোজন। শেখ হাসিনার অবদান, বাংলাদেশের ঢাকায় মেট্রোরেল দৃশ্যমান।

তিনি বলেন, এই দিয়াবাড়িতে ২০১৪ সালের জুনের ১১ তারিখ অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছিল মেট্রোরেলের ডিপো স্থাপন অনুষ্ঠানে। সেদিন প্রচণ্ড ঝড় ছিল, সঙ্গে প্রবল বর্ষণ, মঞ্চ ভেঙে গেল, প্যান্ডেল উড়ে গেল। সে কঠিন সময়ে, আশপাশে এত স্থাপনা, আমাদের দাঁড়ানোর মতো জায়গা ছিল না। সেই অবস্থায় কাকভেজা হয়ে এখানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। আজ সেই মেট্রোরেল কোনো স্বপ্ন নয়, সেই মেট্রোরেল আজ দৃশ্যমান বাস্তবতা।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেত্রী আপনার মনে আছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোরলেন উদ্বোধন, ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোরলেন উদ্বোধন- বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারে ভার্চুয়ালি আপনি উদ্বোধন করেছিলেন। সেদিনই কিন্তু ভোর হয়েছিল এক নৃশংস বর্বরতার মধ্য দিয়ে। সেদিন জঙ্গিরা সাতজন জাপানি কনসালট্যান্টকে অন্যদের সঙ্গে হত্যা করেছিল। আমি আজ তাদের এবং অন্য যারা নিহত হয়েছেন তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আপনাকে শেষ রাতে টেলিফোনে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নেত্রী এই অবস্থা, আপনি তো জেগে আছেন, কী করে অনুষ্ঠান হবে? তখন আপনি বললেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোরলেন ও ঢাকা-ময়মনসিংহ ফোরলেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান চলবে। ওই অবস্থায় সারা রাত জেগে এসে আপনি এই দুটি উদ্বোধন কাজ সমাপ্ত করেছিলেন।

তিনি বলেন, সবই তো করছে শেখ হাসিনার সরকার। শত সেতু একদিনে উদ্বোধন দেখেছেন কোথাও, গুগলেও নেই। শত রাস্তা, শত সড়ক একদিনে। মেট্রোরেল ঢাকায় প্রথম, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রথম, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে আসছে সামনের বছর- এটাও প্রথম, ঢাকা থেকে গাজীপুর বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট, এটাও প্রথম। এসব প্রকল্প আগামী বছর ইনশাল্লাহ আপনি (প্রধানমন্ত্রী) উদ্বোধন করবেন, আমরা আশা করি। সবই শেখ হাসিনা করছে, শতভাগ বিদ্যুৎ, এত বড় বিশ্বকাপ হয়ে গেল কোথাও লোডশেডিং হয়েছে কেউ বলতে পারবে? মেট্রোরেল করে তিনি আবারও প্রমাণ করেছেন 'ইয়েস ইউ ক্যান'। কেন আমরা পারব না, আমরা বীরের জাতি। বিশ্বব্যাংক অপবাদ দিতে পারে, তারা অপবাদ দিয়েছে। আমি বলতে চাই, আমরা বীরের জাতি, চোরের জাতি নই।

এমএসি/জেডএস/জেএস