বাংলাদেশের বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ এর জন্য মোট ২৪টি ট্রেন তৈরি করেছে জাপানের বিখ্যাত কাওয়াসাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি। এগুলোর প্রতিটিতে থাকবে ছয়টি করে কোচ। এর মধ্যে নভেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ১৯টি ট্রেন।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীর চাপ বাড়লে আগামীতে প্রতিটি ট্রেনে আরও দুটি করে কোচ যোগ করা হতে পারে, সেক্ষেত্রে প্রতিটি ক্রেনে কোচ সংখ্যা হবে আট। বিষয়টি মাথায় রেখেই মেট্রোরেলের প্ল্যাটফর্মের নকশা তৈরি করা হয়েছে।

ট্রেনের দুই প্রান্তের দুটি কোচকে বলা হয় ট্রেইলর কার, সেখানে থাকবেন চালক।

এ দুটি কোচের প্রতিটিতে ৪৮ জন বসে এবং ৩২৬ জনের দাঁড়িয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। আর মাঝখানের চারটি কোচের প্রতিটিতে ৫৪ জন বসে এবং ৩৩৬ জন দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। সব মিলিয়ে ছয় কোচের একটি ট্রেনে বসে এবং দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০৮ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। এর মধ্যে সব মিলিয়ে বসার সুযোগ পাবেন ৩১২ জন। চড়ার পর ট্রেনে আসন ফাঁকা থাকলে সেখানে বসতে পারবেন যাত্রী। 

জানা যায়, জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামকে ২৪ সেট ট্রেন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। সব মিলিয়ে ২৪ সেট ট্রেনের দাম পড়ছে ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে সবগুলো ট্রেন বাংলাদেশে আনার পর মোট খরচ দাঁড়াবে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকায়।

এমএ