মেট্রোরেলে চড়ার জন্য এমআরটি পাস কিনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশনের কনকোর্স লেভেলের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে ৫০০ টাকা পরিশোধ করে তিনি এই পাস নেন। একইসঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও একটি পাস নেন। দুজনের পাসের মূল্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোট এক হাজার টাকা পরিশোধ করেন।

এমআরটি পাস সংগ্রহ করে কনকোর্স লেভেল থেকে চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করে প্লাটফর্মে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে তিনি উত্তরা উত্তর স্টেশনের এন্ট্রি প্ল্যান-বি এর চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করে কনকোর্স লেভেলে ওঠেন। সেখানে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে কনকোর্স লেভেল সম্পর্কে ধারণা নেন প্রধানমন্ত্রী।

বেলা ১১টা ৫ মিনিটে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে বহুল উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দ্রুতগতির যানবাহন ব্যবস্থার মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।

এদিকে ট্রেনের অন্যান্য কোচে আগে থেকে আসন গ্রহণকারী ২০০ জন আমন্ত্রিত অতিথির সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে আগারগাঁও স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে আনুষ্ঠানিক মেট্রোরেল চলাচলের উদ্বোধন করবেন তিনি।

মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। আজ উদ্বোধন করা হয় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে রুটের মধ্যবর্তী স্টেশনে কোনো স্টপেজ ছাড়াই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।
 
প্রথম কয়েকদিন প্ল্যাটফর্মে ১০ মিনিট ধরে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করবে মেট্রোরেলের ট্রেনগুলো। কারণ নগরবাসী এই নতুন পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নয়। প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬ বগিবিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলাচল করবে। এ পর্যায়ে ট্রেন চলবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। পরে চলাচলের সময় বাড়ানো হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। সম্পূর্ণরূপে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলে সাড়ে তিন মিনিট অন্তর অন্তর একটি ট্রেন চলবে।

এমএইচএন/জেডএস/জেএস