‘আজ মেট্রো রেলে ভিড় হবে এটা অনুমিত ছিল। কিন্তু এতো ভিড় হবে তা ভাবিনি।’ আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন উত্তরার উইন মার্ক টেকনোলজি এগ্রোভেড ডিভিশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম।

সাভার থেকে বাসে চড়ে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সামনে নেমেছিলেন তিনি। মেট্রো রেলে চড়ে উত্তরায় অফিসে যাবেন। কিন্তু দর্শনার্থীদের ভিড়ে বাধে বিপত্তি।

অফিসগামী এ মেট্রো রেল যাত্রী আরও বলেন, ‘অধিক দর্শনার্থীর ভিড়ে অফিসগামী যাত্রীদের একটু সমস্যা তো হচ্ছেই। তবে এ ভেবে খুব ভালো লাগছে যে, মেট্রো রেল দেশে চালু হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। তখন সময় বাঁচবে, যাত্রা হবে স্বাস্থ্যকর। ’

আরেক যাত্রী জং সিন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লি. এর মার্কেটিং ম্যানেজার মো. আতিকুল ইসলাম। তার অফিস উত্তরা ১১ নং সেক্টরে। প্রতিদিন অফিস যেতে তার সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। মেট্রো রেল চালু হচ্ছে, তাই মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বাসে চড়ে আগারগাঁও এসেছেন। কিন্তু দর্শনার্থীদের চাপে সময়মতো মেট্রো রেলে উঠতে পারেননি। 

আতিকুল আরও বলেন, মেট্রো রেলে উঠে অল্প সময়ে অফিস পৌঁছাতে পারব ভেবেছিলাম। কিন্তু হলো উল্টোটা। তবে আশা করছি ধীরে ধীরে দর্শনার্থী কমবে, সময় মতো ছাড়বে মেট্রো রেল। সময় বাঁচিয়ে পৌঁছাতে পারবো অফিসে। 

আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ যাত্রীই দর্শনার্থী। তবে এর ফাঁকে ভোগান্তিতে পড়েছেন মেট্রো রেলে চড়ে অফিস যেতে ইচ্ছুক চাকরিজীবীরা।

উত্তরা দিয়াবাড়ী পাসপোর্ট অফিসে যাবেন নুরুন্নবী নামে এক সেবা প্রত্যাশী। তিনি বলেন, ‘দিয়াবাড়ী মেট্রো রেলের মূল স্টেশনের পাশেই বিআরটিএ অফিস। ভেবেছিলাম ১৫/২০ মিনিটেই সেখানে পৌঁছাতে পারবো। কিন্তু লাইনেই দাঁড়িয়ে কাটলো দেড় ঘণ্টা। সামনে আরও অনেকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।’

উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন অফিস যেতে কমপক্ষে সোয়া এক ঘণ্টা লাগে। মেট্রো রেলে যেতে লাগতো ১৫ মিনিট। বাকি পথ রিকশায় যেতে আরও ১৫ মিনিট। আধা ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছাবো ভেবেই এখানে আসা। কিন্তু আজ প্রথম দিন বলেই হয়তো ভিড় বেশি। অফিসে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারব জেনেও ভালো লাগছে যে, নিরাপদ যাত্রা হবে। মেট্রো রেল ফুল অপারেশনে গেলে অফিসগামী যাত্রীদের সময় বাঁচবে। বাসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝুলে ঝুলে যাত্রার অবসান হবে।’

জেইউ/এমজে/এনএফ