মেট্রোরেলেরে উত্তরা উত্তর স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন অনেক যাত্রী/ ঢাকা পোস্ট

রাজধানীর গণপরিবহনে সদ্য যোগ হওয়া মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে তিন বন্ধুকে নিয়ে সকাল ১০টায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন টঙ্গীর বাসিন্দা জসিম উদ্দিন। প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ঢুকতে পারেননি উত্তরা উত্তর স্টেশনে, কিনতে পারেননি টিকিট। এর ফলে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) যাত্রীদের জন্য প্রথম চালু হওয়া মেট্রোতে আর ওঠা হয়নি তাদের।

অনেকটা আক্ষেপের সুরে জসিম উদ্দিন বলেন, আজ উঠতে পারিনি বলে দুঃখ নেই, আগামীকাল আবার আসব এবং মেট্রোরেলে উঠব।

আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মেট্রোরেলে উঠতে না পারা আরেক ব্যক্তি আহমেদ ফজল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ছেলে-মেয়ে ও পরিবার নিয়ে মেট্রোরেলে চড়তে এসেছিলাম। কিন্তু ভিড়ের কারণে আজ আর তা হয়নি। প্রথম দিনে চড়তে পারলে ভালো লাগত। কী আর করা, অন্য একদিন এসে উঠতে হবে।’

আরও পড়ুন >>> মেট্রোরেল অর্থনীতির নতুন জাগরণ 

জসিম উদ্দিন ও আহমেদ ফজলের মতো হাজারো যাত্রী উত্তরার মেট্রোরেল স্টেশন থেকে ট্রেনে না চড়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে তাদের প্রত্যাশা-আগামীকাল এসে ট্রেনে উঠতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার সকালে নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয়। এই স্টেশন থেকে আজ সর্বশেষ ট্রেন ছেড়ে যায় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে।

এ বিষয়ে উত্তরা উত্তর স্টেশনে দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, ‘মানুষকে মেট্রোর প্রসেস সম্পর্কে জানাতে-বোঝাতে একটু সময় লাগছে। ভেতরে ঢোকার পর থেকে টিকিট সংগ্রহ করা পর্যন্ত কার্যক্রম খুব ধীরগতিতে চলেছে। কারণ সব মানুষ এ বিষয়ে জানেন না, অভ্যস্তও নন। শৃঙ্খলা বজায় রাখতেও কিছুটা ধীরগতি হয়েছে। স্বাভাবিক হতে দুই-একদিন সময় লাগবে।’

আরও পড়ুন >>> মেট্রোরেলে আসুক যোগাযোগের স্বাধীনতা 

গতকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রাথমিক পর্যায়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে ট্রেন। ট্রেনে নারীদের জন্য আলাদা কোচের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের চলাচলের জন্য এস্কেলেটর, লিফটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

এমআই/এমজে/জেডএস/জেএস