চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন আগের সীমানায় হবে নাকি নতুন সীমানায় হবে সেজন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দিকে তাকিয়ে আছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কেননা জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে নির্বাচন আয়োজন করতে আর কোনো বাধা থাকবে না। 

চলতি বা আগামী মাসেই জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।

রোববার (০১ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান।  

তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সংসদ নির্বাচন করব। আমরা আশা করি আইন সংশোধনের বিষয়টিও আইন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে কয়েকদিনের মধ্যে চলে আসবে। আইনমন্ত্রী বলেছেন যে কাজটা প্রায় শেষের পথে কয়েকদিনের মধ্যেই পাঠিয়ে দেবেন। এক্ষেত্রে আমরা ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আইন সংশোধনের কাজ শেষ করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, সীমানা নির্ধারণের কাজটা আশা করি জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারব। মে মাসের মধ্যেই যাতে করতে পারি সে চেষ্টা থাকবে। জনশুমারির চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য পরিসংখ্যান ব্যুরোকে চিঠি লিখেছি। তারা যদি ওটা জুনের পরে করে তাহলে তো সেটা আমলে নেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে বর্তমানে যে অবস্থা আছে, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হবে। খুব বেশি আসনের প্রস্তাব আমরা পাইনি। সেগুলোর ওপর কাজ শুরু করেছি।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ঢাকা পোস্টকে জানান, জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এখন আমরা তৃতীয়পক্ষ অর্থাৎ বিআইডিএসকে দিয়ে শুমারির মূল্যায়ন করাচ্ছি। আমরা আশা করছি চলতি মাসেই বিআইডিএস তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন দেবে। সেক্ষেত্রে আমরা নির্বাচন কমিশনকে চলতি মাস অথবা আগামী মাসেই জনশুমারির প্রতিবেদন দিতে পারব। আমাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে নির্বাচন কমিশন সীমানা নির্ধারণ করতে পারবে।

এসআর/কেএ