রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩। মেলায় যাতায়াতের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। 

তবে মেলার দ্বিতীয় দিন সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কুড়িলে গিয়ে দেখা যায়, মেলায় যাওয়ার জন্য খুব বেশি যাত্রী না থাকায় বেশ খানিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে বিআরটিসির দ্বিতল বাস সার্ভিসগুলোকে। সিরিয়ালে বিআরটিসির দুই তিনটি দ্বিতল বাস অপেক্ষায় থাকলেও সেভাবে যাত্রীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। এক একটি বাস পরিপূর্ণ হতে যতটা সময় লাগছে এরপর যাত্রীসহ বাস ছাড়ছেন সংশ্লিষ্টরা। কুড়িল থেকে বাণিজ্য মেলা পর্যন্ত যাত্রী প্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে ৫টি কাউন্টার করা হয়েছে বিআরটিসি বাস যাত্রীদের জন্য।

যাত্রী পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য অপেক্ষা...

বাস কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টা থেকে আমাদের বাস সার্ভিস চালু থাকছে। যাত্রীর চাপ এড়াতে এখানে বেশকিছু কাউন্টার করা হয়েছে। একের পর এক বিআরটিসির বাসগুলো এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে। যাত্রী পরিপূর্ণ হয়ে গেলেই আমরা বাসগুলো ছেড়ে দিচ্ছি। তবে মেলা কেবল শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে মেলা জমতে শুরু করলে যাত্রীচাপ শুরু হবে। মোটামুটি সপ্তাহ খানেক পর থেকে মেলায় মূল ভিড় শুরু হবে।

এদিকে স্ত্রীসহ মেলায় যাওয়ার বাসের টিকিট কেটে বিআরটিসি বাস ছাড়ার অপেক্ষায় ছিলেন সজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ২০/২৫ মিনিট ধরে টিকিট কেটে বাসে বসে আছি। কিন্তু বাসে যাত্রী ভরছেও না, বাসও ছাড়ছে না। দূরে দ্বিতীয়বারের মত বাণিজ্য মেলা বসেছে, কিন্তু সেখানে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের যদি এতটা সময় অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে তো মেলায় যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে অনেকে।

এদিকে বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম গতকাল ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যাতায়াতের জন্য আমরা বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আমাদের বাস সার্ভিস চালু হবে। যাত্রীর যত চাহিদা থাকবে, আমরা বাসের সংখ্যা তত বাড়াব।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব সর্বশেষ যাত্রীকেও মেলা থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনার। আমাদের বাস সার্ভিস রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থাকবে। শুক্রবারগুলোতে ১৫০টি বাস পরিচালনার চিন্তা রয়েছে।

ঢাকার ২৭তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা রোববার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়। আগে বাণিজ্যমেলা শেরে বাংলা নগরের চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। ২০২২ সাল থেকে মেলার জন্য জায়গা নির্ধারিত হয়েছে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার।

এএসএস/এসএম