সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আবৃত্তি আমাকে বরাবরই আকর্ষণ করে। ছাত্রজীবন থেকেই আমি আবৃত্তির ভক্ত। বিশেষ করে প্রয়াত হাসান আরিফ ছিলেন আমার অন্যতম প্রিয় আবৃত্তি শিল্পী। জাতির ভবিষ্যৎ কান্ডারি শিশুদের নিয়ে ‘বাংলা আমার’ আবৃত্তি সংগঠন একটি অসাধারণ অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছে যা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছি। সংস্কৃতিকর্মীদের কাছে আমরা এ ধরনের পরিপাটি ও গোছানো অনুষ্ঠানই প্রত্যাশা করি।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে 'বাংলা আমার' সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র এর ৫ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে 'বাংলা আমার আবৃত্তি উৎসব ২০২৩' ও 'বাংলা আমার সম্মাননা ২০২৩' প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কে এম খালিদ বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ বাংলা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতাসহ আমাদের সকলের। সর্বোপরি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের ফসল এ বাংলা। তাই আবৃত্তি ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র 'বাংলা আমার' এর নামকরণ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চার প্রসার ঘটাতে পারলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে বরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামকে ‘বাংলা আমার সম্মাননা ২০২৩’ এবং প্রতিশ্রুতিশীল আবৃত্তি শিল্পী ও সংগঠক মো. মুজাহিদুল ইসলামকে ‘বাংলা আমার প্রণোদনা ২০২৩’ প্রদান করা হয়। 

তাছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলা আমার বর্ষসেরা সদস্য হিসেবে তানিয়া আফসার এবং আরিফা বেগমকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। উপস্থাপনা করেন জয় আহমেদ এবং আরিফা বেগম।

এমএইচএন/এসকেডি