যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় চট্টগ্রামের ইসহাক কনটেইনার ডিপোকে দুই লাখ টাকা এবং আদিলা অ্যাপারেলসকে লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে লাইসেন্স ছাড়া ইসহাক ডিপোতে পরিচালনা করে আসা একটি ফিলিং স্টেশনকে অনুমোদন নিতে ৭ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জেলা প্রশাসন জানায়, অগ্নি নিরাপত্তা না রেখে ঝুঁকির মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে শনিবার সকালে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন। শুরুতে নগরের হালিশহর এলাকার ইসহাক কনটেইনার ডিপোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডিপোটি ২২ বছর ধরে ব্যবসা করলেও ফায়ার সেফটি প্ল্যান অনুমোদন বা বাস্তবায়ন কোনোটিই করেনি। কয়েক হাজার কনটেইনার থাকলেও সেখানে ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছিল মাত্র ৩৫০টি। এসব অনিয়মের দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ডিপোটিতে লাইসেন্স ছাড়া একটি ফিলিং স্টেশন পরিচালনা করতে দেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে এটি অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।  নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এরপর একই ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরের বাংলাবাজার এলাকার আদিলা অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে। এতেও যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা না থাকায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় অবস্থিত বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার ঘণ্টা-খানেকের মধ্যে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এরপর টানা ৮৬ ঘণ্টা সেখানে আগুন জ্বলতে থাকে। এই দুর্ঘটনায় আশপাশে থাকা ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও শ্রমিকসহ ৫১ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। একই দুর্ঘটনায় ১৫৬টি আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এসকেডি