‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পুলিশ আছে জনতার পাশে’ এই প্রতিপাদ্যে পুলিশ সপ্তাহের শেষ দিন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৮ জানুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে জনপ্রশাসনবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সভায় পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা ও চাহিদার কথা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কাছে পেশ করেন। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পুলিশের যৌক্তিক সমস্যা সমাধানে আইন মন্ত্রণালয়ের দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। একটা দেশে স্বাধীনভাবে চলার জন্য, সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশের ভূমিকা অপরিহার্য। পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

জনপ্রশাসনবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে পুলিশ বাহিনী আজ একটি সম্মানজনক, গর্বিত অবস্থানে আসতে পেরেছে। একটি দেশের এগিয়ে যাওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে জনগণকে শান্তিতে রাখা। পুলিশ জনগণের বন্ধু হিসেবে সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছে এবং নিজেকে প্রমাণ করেছে। সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করেছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, পুলিশ বাহিনী জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে দেশের রাজনৈতিক সংকটে পুলিশ বাহিনী জনগণের পাশে থেকেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাধ্যমত চেষ্টা করেছে।

তিনি আরও বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে। হলি আর্টিসান অভিযানে পুলিশ রক্তের বিনিময়ে প্রমাণ করেছে তারা দেশের জন্য অকুতোভয় সৈনিক। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনী কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।

সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধু পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে বলেছেন। সরকার ও পুলিশ বাহিনী সে লক্ষেই কাজ করছে। আমাদের আজকের প্রস্তাবে যেসব সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরা হয়েছে তা জনগণের সেবা বাড়ানোর জন্যই।

আইজিপি আরও বলেন, আমরা জনগণের পুলিশ হিসেবে দেশের জন্য কাজ করতে চাই, সেবা করতে চাই। যাতে দ্রুততম সময়ে মানুষের কাছাকাছি যাওয়া যায়। তাই সরকারের কাছে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমএসি/এমএ